বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনায় বাবার বিরুদ্ধে চার বছর বয়সী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় যাওয়ার পর মামলা না নিয়ে উল্টো থানা থেকে ভুক্তভোগী শিশুটির মা'কে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি বশিরুল আলম।
এ দিকে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত লম্পট বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, অনেকদিন ধরেই তার অনুপস্থিতিতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে শিশুটির বাবা। বিষয়টি শ্বশুর বাড়ির স্বজনদের জানালে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে শ্বশুর বাড়ির স্বজনরা।
শিশুটির মা আরও জানান, এ ঘটনায় শিশুটিকে নিয়ে বামনা থানার গেলে মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে গালমন্দ করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন বামনা থানার ওসি বশিরুল আলম। পরে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমুন নাহার বলেন, শিশুর একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ কারণে শিশুটির বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম বলেন, মেয়েটির মা থানা মামলা না নেয়ার যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। বিষয়টি জানার পর আমরা অভিযান চালিয়ে শিশুটির অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, এ ঘটনার খবর জানাতে পেরে আমার নির্দেশে অভিযুক্ত বাবাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বামনা থানার ওসির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।