পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ভিটে-মাটি সরকার নিয়ে নেবে, আর আমরা সেটি বন্ধ করে রাখবো-এমনটি হতে পারে না। এমন মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একটি লিভ টু আপিল শুনানিকালে গতকাল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ সরকারপক্ষীয় আইনজীবীর উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন। বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ কমান্ডারের জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি গ্রহণ করছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী শুনানিতে অংশ নেন।
লিভ টু আপিল শুনানির শুরুতেই গত ১০ বছরেও মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত উষ্মা প্রকাশ করেন। আদালত সরকারপক্ষীয় আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১০ বছরেও একটা মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেন না, এটা লজ্জার !
শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, যাদের মূল ভিটে-বাড়ি, আগে তাদের কথা ভাবতে হবে। একজনের ভিটে-বাড়ি নিয়ে যাবেন, আমরা চোখ বন্ধ রাখব, তাহলে দেশে কোর্ট-কাচারি থাকার দরকার কী ? এ বিষয়ে আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না। পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (সোমবার) তারিখ ধার্য করেন।
পরে অ্যাডভোকেট আওসাফুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রাজধানীর মগবাজারের সাড়ে ১৯ শতাংশ জায়গার প্রকৃত মালিক বীরেন্দ্র কুমার নাথ। ১৯৪০ সালে আমলনামা মূলে এই জায়গা সিরাজ কমান্ডারকে দিয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সিরাজ কমান্ডার এই জায়গার হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল পরিশোধ করে তার নামে মিউটেশন করে খারিজ করে নেন। জায়গার খাজনাও পরিশোধ করেন। সেখানে স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করতে থাকেন। ২০১০ সালের শেষের দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে। পরে তারা জানতে পারেন এ জায়গা ‘অর্পিত সম্পত্তি’ হিসেবে অধিগ্রহণ করে ‘বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি’কে দেয়া হয়েছে। ওই বছরই জায়গা অধিগ্রহণ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সিরাজ কমান্ডারের সন্তানরা। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালে আদালত অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে লিভ টু আপিল করে সরকার। সেই লিভ টু আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে গতকাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।