পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ব্যর্থতার কারণেই রমজানেও দেশের মানুষ শাস্তি-স্বস্তিতে দিন কাটাতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মাহে রমজানের মধ্যেও আমরা শান্তিতে, স্বস্তিতে দিন কাটাতে পারছি না। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। এলপিজি গ্যাসের দামও টানা বাড়িয়ে চলেছে। তারা (সরকার) ব্যর্থ বাজার ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে হত্যা করে আজকে দেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছে তারা। ফেব্রুয়ারি, মার্চে এলপিজি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর এপ্রিল মাসেও দাম বৃদ্ধির নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
গতকাল রোববার প্রথম রোজায় এতিম ও ওলামা-মাশায়েখদের সম্মানে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে (ইফতার অনুষ্ঠান) অনেক মেহমান আসতে পারেননি, আলেম-উলামা, মাদরাসার ছেলে-মেয়েরা আসতে পারেননি। কারণ ট্রাফিক জ্যাম। এতো ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম যে, কেউ এসে পৌঁছাতে পারেননি।
ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে বিএনপি ‘এতিম ও উলামা-মাশায়েখদের সম্মানে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইফতারের ঠিক ১৫ আগেও অর্ধেক অতিথি অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছাতে পেরেছেন। বিএনপি মহাসচিব প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যামে আটকে থেকে পরে পথ থেকে মোটর সাইকেলে অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌঁছান। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও ইফতার শুরুর সময়েই অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌঁছান। তিনি জানান, প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যামে নিজের গাড়ি রাস্তায় রেখে পায়ে হেটে আসতে হয়েছে। তেজগাঁও মহিলা এতিম খানা, শান্তিনগর এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদরাসা এবং ফার্মগেইট মাদরাসা এতিম শিক্ষার্থীদেরিএই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ইফতার শুরুর প্রায় ৫মিনিট পর অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌঁছায়।
উলামা-মাশায়েখদের মধ্যে বাড্ডা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোশাররফ হোসেন, স্পিচ অব ইসলামের প্রেসিডেন্ট মাওলানা রেজাওয়ানুর রহমান খাঁন, মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মহিউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদপুর বায়তুল ফজল সিনিয়র মাদরাসার প্রধান মাওলানা গোলাম মাওলা মূল মঞ্চে ছিলেন।
ইফতারে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল কাইয়ুম, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক ও সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার ছিলেন। ইফতার শুরুর আগে বিভিন্ন টেবিল ঘুরে আগতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপি মহাসচিব।
করোনার কারণে দুই বছর কোনো ইফতার অনুষ্ঠান করতে পারেনি তারা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রথম রোজার ইফতার এতিমদের সাথে করতেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিবছর আমরা ১৬ কোটি মানুষের প্রিয় মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ইফতার করেছি। দুর্ভাগ্য আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনি আজকে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব আমাদের কাছে থেকে ৮ হাজার মাইল দূরে নির্বাসিত অবস্থায় রয়েছেন। আমরা এই মাহে রমজানে আশা করেছিলাম সকল জিনিসপত্রের দাম কমবে। না কমলে অন্তব্য বাড়বে না। দুর্ভাগ্যের কথা যে, প্রত্যেকটি জিনিসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যেটা নিয়ে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, আমরা দলের পক্ষ থেকে জনগণের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করেছি, বিক্ষোভ করেছি। কালকেও করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।