Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সাভার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে সাভার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস। সরকারি কোনো নিয়ম-নীতির বালাই নেই এ অফিসে। গরিবের নলকূপ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছে অন্যত্র। নিয়োগ বাণিজ্য ও ঘুষ বাণিজ্যে চলছে দেদারছে।

সম্প্রতি ২০ জন লোককে মেকানিক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া, নলকূপ স্থাপনের নামে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নেয়া, নলকূপের গভীরতা বেশি দেখানোসহ সরকারি সম্পদ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠে এই অফিসের মেকানিক ফয়সালের বিরুদ্ধে।
মোতাহার হোসেন নামে এক ভূক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে মেকানিক ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও সরকারি সম্পদ নয়ছয়ের ঘটনা তদন্তের জন্য দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ফয়সালের বিরুদ্ধে দুই সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের আর্সেনিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীরকে আহ্বায়ক ও ভান্ডার বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রেজ্জাককে সদস্য করা হয়।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ঠিকাদার ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাভার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের মেকানিক ফয়সালের কাছে জিম্মি এই অফিস। ফয়সালের কথামতো ঠিকাদারদের সাইট লিষ্ট না দিয়ে নানান তালবাহানা করে। যেখানে একটি টিউবয়েলের বোরিং ৪৩০ ফিট সেখানে সে ২৫০ অথবা ৩০০ ফিটের বিল দেয়। সাধারণ মানুষের নামে বরাদ্ধকৃত টিউবওয়েল স্থাপন না করে অফিসের লোকজন বোরিংয়ের জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা ও পাইপ স্যানেটারী দোকানে বিক্রি করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি নলকূপ পাশ হলেও গোপনে অন্যত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় সে। প্রকৃতপক্ষে পুরো প্রকল্প সঠিক তদারকি ও নজরদারির অভাবে এবং মেকানিক ফয়সাল আহমেদের একক কর্তৃত্বে পরিচালিত হওয়ায় সরকারের জনবান্ধব এই প্রকল্পে সাভার উপজেলায় সুফল মিলছে না। জনগণ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। হরিলুট হচ্ছে প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা। অভিযোগ প্রসঙ্গে মুঠফোনে সাভার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান মেকানিক ফয়সাল আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাভার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান মেকানিক ফয়সাল আহমেদের নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির ভাগিদার হচ্ছে একই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন।
তবে ফারুক হোসেন বলেন, অনিয়মের বিষয়টি তার জানা নেই। মেকানিক ফয়সালের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কমিটি তথ্য নিয়ে গেছে। এর বেশি কিছু তিনি জানেনা বলে জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ