Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাজধানীসহ সারা দেশের মসজিদে মসজিদে খতমে তারাবি, মুসল্লিদের ঢল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৫৬ এএম

শুরু হয়েছে পবিত্র মাস মাহে রমজান। শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। শনিবার (২ এপ্রিল) বাদ মাগরিব রমজানের চাঁদ দেখার পর তারাবির নামাজের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের রোজার আনুষ্ঠানিকতা। দুই বছর পর পুরোনো চেহারায় ফিরেছে রমজান। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে লকডাউনের মধ্যে কাটাতে হয়েছে রমজান। এবার কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় আগের সেই চেহারায় ফিরেছে মাসটি। প্রথম দিনেই মসজিদে মসজিদে খতমে তারাবিতে মুসল্লিদের ঢল লক্ষ্য করা গেছে।

সন্ধ্যার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মুসল্লিরা মসজিদে যান। প্রায় সব মসজিদেই খতমে তারাবি হওয়ায় দীর্ঘ সময় নিয়ে মুসল্লিরা এই নামাজ আদায় করেন।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তারাবি আদায় করতে এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আজাদ মাহবুব। তিনি জানান, গত দুই বছর মসজিদে গিয়ে তারাবি আদায় করতে পারেননি। এবার তারাবি আদায় করতে আসতে পেরে তিনি অনেক খুশি। বায়তুল মোকাররমে দীর্ঘ সময় নিয়ে তারাবি আদায় হলেও তিনি এখানে নামাজ আদায় করবেন বলে জানান। তার মতে, তারাবির নামাজে তাড়াহুড়ো কাম্য নয়। ধীরস্থিরভাবে আদায় করা উচিত।

রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার তারাবির নামাজে মুসল্লিদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় প্রতিটি মসজিদেই মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

এদিকে সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবি পড়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তেলাওয়াতের রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। এতে করে কর্ম উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের মধ্যে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই পরিস্থিতি নিরসনকল্পে রমজানের প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে নয় পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তেলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ