বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুর জেলা সদরের ভবানীপুর পিঙ্গাইল এলাকাস্থ “রাজেন্দ্র ইকো রিজট এন্ড ভিলেজ” এর মালিক পক্ষককে মামলা এবং বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানি অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে ওই রিসোর্টের ভেতরে কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে রাজেন্দ্র ইকো রিজট এন্ড ভিলেজের পরিচালক সদস্য এইচ.এন.এম শফিকুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে ১৮ জন মালিক সদস্য এর কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিজনের ১৮ কাঠা করে মোট ৩২৪ কাঠার উপর রিসোর্টটি তৈরী হয়। রিসোর্ট তৈরীতে ডেভেলপার কোম্পানীর সাথে চুক্তি করা হয়। ডেভেলপার কোম্পানীর দায়িত্বে ছিলেন ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির আহম্মদ মাহমুদী এবং সভাপতি সাব্বির আহমেদ মাহমুদী। চুক্তি মোতাবেক মালিকদের ক্রয়কৃত জমিতে ডিজাইন মোতাবেক ভবন নির্মাণ করে ২০১৩ সালের জানুয়ারীতে হস্তান্তর করার কথা থাকে। কিন্তু ২০২২ সাল নাগাদও ডেভেলপার কোম্পানী রিসোর্টটি হস্তান্তর না করে জোর পূর্বক দখল করে রাখে। সম্প্রতি গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়, ভূমি অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সি আই ডি অফিস থেকে জমির মালিকদের পক্ষে রিপোর্ট দেন। পরে ইয়েস গ্রুপের কোন মালিকানা না থাকায় তারা স্বেচ্ছায় রিসোর্ট ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু তারা বিভিন্ন মিডিয়াতে “রাজেন্দ্র ইকো রিজট এন্ড ভিলেজ” এর মালিকানা নিয়ে এবং রিসোর্টটির সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি গাজীপুর কোর্টে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। তাই ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির আহম্মদ মাহমুদী এবং সভাপতি সাব্বির আহমেদ মাহমুদীর এসব হয়রানী মূলক কর্মকান্ড যে না করতে পারে সে জন্য সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন রাজেন্দ্র ইকো রিজট এন্ড ভিলেজের পরিচালক বৃন্দ।
এ বিষয়ে ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি: এর সভাপতি সাব্বির আহমেদ মাহমুদী বলেন, পুরো প্রজেক্টটি আমাদের। আমরা তাদের কাছে প্লট বিক্রি করেছি কিন্তু প্রজেক্ট বিক্রি করি নি। তারা প্রত্যেকে ১০কাটা করে প্লটের মালিক। আমাদের তথ্য প্রমাণ দিয়েই আমরা গাজীপুর কোর্টে মামলা করেছি। এখন কোর্ট বিষয়টি দেখছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজেন্দ্র ইকো রিজট এন্ড ভিলেজের পরিচালক ইমদাদুল করিম, মজিবুর রহমান হাজারী, ওহেদুল ইসলাম, মো: শ্যামল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।