Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে ডিসির উদ্ভাবন, দিনে দিনেই গ্রাহক পাচ্ছে জমির খতিয়ান

শামসুল আলম খান, ময়মনসিংহ | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২২, ৭:১২ পিএম

জনগণের ভোগান্তি দূর করার লক্ষ্যে দিনে দিনে জমির খতিয়ান সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। গত ১৮ মার্চে জেলা সফর কালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম দিনে দিনে খতিয়ান (সার্টিফাইড কপি) রেকর্ডরুম হতে এই সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এর ফলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত গ্রাহকরা কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই একদিনেই পাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত খতিয়ান। এই সেবার মূল উদ্যোক্তা হলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। জেলা প্রশাসকের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলাবাসী।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি সেবা সহজীকরণ, ডিজিটাল বাংলাদেশের মূলমন্ত্র জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছানো, এসডিজি ২০৩০ এর লক্ষমাত্রা অর্জনে এ সকল লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আবেদনের দিনেই খতিয়ান সেবা গ্রহিতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ফলে জনগণের সময়, খরচ, যাতায়াত হ্রাস যেমনি হ্রাস পেয়েছে তেমনি হয়রানিমুক্ত সেবা পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত হয়েছে। প্রশাসনের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উল্লেখ্য এ জেলায় ১৩টি উপজেলার ২২০১টি মৌজার সিএস, এসএ ও বিআরএস জরিপের ৯৭১৯টি রেকর্ড বহি, ২১১১৭৯৯টি খতিয়ান, ২৫৭৫৫৬টি মৌজা ম্যাপ সংরক্ষিত আছে। রেকর্ডরুমে ডিআরআর প্রকল্পের অধীনে ৮১৯৭৯২টি খতিয়ান আর্কাইভ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সেটেলমেন্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাত জাহান ইতু জানান, সেবাগ্রহীতাগণ সেটেলমেন্টের রেকর্ডরুম থেকে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি, মৌজা নকশা সংগ্রহ করে থাকে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৮০-২০০টি খতিয়ান সরবরাহের আবেদন জমা পড়ে। এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সেটেলমেন্ট রেকর্ডরুম পরিদর্শণকালে জানতে পারেন রেকর্ডরুমের প্রায় ৫ হাজার আবেদন অনিষ্পত্তি অবস্থায় থাকার ফলে খতিয়ান সরবরাহে দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েই চলছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় জমি ক্রয় বিক্রয়ে বিভিন্ন মামলা পরিচালনায়, ব্যাংক ঋণ, নামজারি ইত্যাদি কাজে ভূমির খতিয়ান এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, জনগণ তাৎক্ষণিকভাবে তা পাওয়ার জন্য মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দ্বারস্থ এবং হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। দ্রুত খতিয়ান প্রদানের লক্ষে অনলাইনে ৫০ টাকা ফি প্রদান করে গ্রাহক প্রতিদিন সকাল ১০ টার মধ্যে প্রাপ্ত আবেদন (ই-পর্চা সিস্টেম) এবং সরাসরি প্রাপ্ত সংগ্রহপূর্বক কাজ শুরু করে। প্রাপ্ত আবেদনসমূহের ভিত্তিতে খতিয়ানে সার্টিফাইড কপি তৈরি করা এবং ঐদিন বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ই-সেবা কেন্দ্র থেকে বিতরণ করা হচ্ছে। ডাক বিভাগের মাধ্যমে খতিয়ান পেতে আগ্রহীদের ডাকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, জেলা প্রশাসনের সেবাসমূহ সহজীকরণ ও জনগণের সেবা পেতে হয়রানি ও দূর্নীতি মুক্ত করার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে আরও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ