বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ত্রয়োদশ দফার দ্বিতীয়াংশে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১ হাজার ৫৩৫ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ন কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ হাজার ১১৬ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ যোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়। ভাসানচর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৫৩৫ জন রোহিঙ্গাকে ৭৩, ৭৪ ও ৮৬ নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১২৮৭ জন, একাদশ দফায় ১ হাজার ৬৫৫ জন, দ্বাদশ দফায় ২৯৮২ জন ও ত্রয়োদশ দফায় প্রথম অংশে ১৯৯৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।
জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।