Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নান্দাইলে কিশোর হত্যা ঘটনায় জড়িত ২জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ

ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২২, ৭:৫৬ পিএম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে নিজ ঘরে গলা কেটে মাহফুজুর রহমান সাজিদ (১৬) নামের এক কিশোর হত্যার ঘটনায় রহস্য উন্মোচন করে হত্যার সাথে জড়িত ২জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর থানা এলাকা হতে হত্যার সাথে জড়িত কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার নামাসিধলা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ হান্নান (৪৫) ও ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার রহিমপুর গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ আরমান (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি হান্নান ও আরমান পরস্পর আত্মীয়। সেই সূত্রে আসামি হান্নান গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকায় স্বস্ত্রীক বসবাস করত। হান্নান ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে সংসারের ব্যায় নির্বাহ করতে না পেরে তার তিন সন্তানের জননী স্ত্রী রুনা বেগম কে তৈরী পোশাক কারখানার শ্রমিক হিসেবে চাকুরী পাইয়ে দেয়। হত্যাকান্ডে শিকার সাজিদ এর বড় ভাই মোঃ রবিউল আওয়াল শুভ (১৮) আসামি হান্নান এর স্ত্রীর সাথে তৈরী পোশাক কারখানায় কাজ করার কারনে ভবানীপুর এলাকায় বসবাস করতেন। রবিউল আওয়াল শুভ (১৮) ও হান্নান এর স্ত্রী রুনা বেগম এর সাথে সর্ম্পক গড়ে উঠলে অনুমান ৪/৫ মাস আগে রুনা বেগম দুই সন্তানকে স্বামীর ঘরে ফেলে রেখে রবিউল আওয়াল শুভ (১৮) এর সাথে চলে এসে বিয়ে করে নতুন সংসার বাঁধে। আসামি হান্নান স্ত্রী ও সংসার হারিয়ে গাজীপুর এলাকা ছেড়ে সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভপুর থানা এলাকায় বসবাস করে। এঅবস্থায় আসামি হান্নান ২০বছরের সংসার জীবনে অনাকাঙ্খিত ভাঙ্গনের প্রতিশোধ নিতে রবিউল আওয়াল শুভ (১৮) বা পরিবারের অন্য কাউকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ২৬ মার্চ হান্নান তার মামাতো ভাই আসামি আরমান (১৯) এর সাথে যোগাযোগ করে বাড়ীতে আসে। ওইদিন দিবাগত রাত অনুমান ১ ঘটিকার সময় পরিকল্পনা মোতাবেক প্রস্ততি গ্রহণ করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি সাথে নিয়ে ঘরের বাহিরের দরজা দিয়ে আসামিরা মাহফুজুর রহমান সাজিদ (১৫) এর ঘরে প্রবেশ করে মাহফুজুর রহমান সাজিদকে আসামি হান্নান ও আরমান সাথে নিয়ে আসা ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে ও গলা কেঁটে হত্যা করে। পরে সাজিদের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিরা ঘর থেকে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর আসামিদের দেখানো মতে ঘটনাস্থলের অদূরে পুকুরের পাড় হতে ঘটনার সময় আসামিদের পরিহিত রক্তমাখা জামা ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ