Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সৈয়দপুর জেলা বিএনপি’র প্রতীকী অনশন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২২, ৬:১৪ পিএম

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি আর সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে নীলফামারীর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি প্রতীকী অনশন করেছে। আজ বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য বলেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার। সৈয়দপুর পৌর আহ্ববায়ক শেখ বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব শাহিন আকতার শাহিন, যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন, জেলা যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম জনি, উপজেলা আহবায়ক রেজাউল করিম লোকমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন সরকার। উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতি, পৌর যুগ্ম আহবায়ক শাহাবুদ্দীন বাদল, কাশিরাম ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিছুল চৌধুরী, বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কার্জন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সর্বগ্রাসী দূর্নীতির ফলে দেশে আজ সর্বত্র অরাজকতা চলছে। একারণে সিন্ডিকেটের কবলে চলে গেছে নিত্যপণ্যের বাজারসহ প্রতিটি সেক্টর। এতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে দ্রব্যমূল্য। যার রাশ টেনে ধরার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে এই অবৈধ সরকার। আর খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। রাতের ভোটের নামে অপকৌশল আর ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে দেশের মসনদে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা এই সরকারের ন্যুনতম নৈতিকতা নেই। একারণে তারা জনস্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের শোষণ চিরস্থায়ী করতেই ব্যস্ত। গুটিকয়েক সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দফায় দফায় বৃদ্ধি ও নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে প্রশাসনের সমর্থন ধরে রেখেছে। যার ফলে আমলাদের দ্বারা প্রকাশ্যেই সংঘটিত শত শত প্রত্যক্ষ দূর্নীতি আর অনিয়মের ঘটনার একটিরও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। বরং দিন দিন নানা অজুহাতে আরও বেপরোয়াভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও অর্থ লুটে নেয়ার মহোৎসবে মেতেছে রাষ্ট্রের সকল চালিকাশক্তির দায়িত্বপ্রাপ্তরা এবং সরকারী মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীরা। অথচ বিশ্ব প্রতারক সংগঠন আওয়ামীলীগের সরকার জনগনকে ধোকা দিতে চিরাচরিত মিথ্যেচার দিয়ে উন্নয়নের সাফাই গেয়েই চলেছে। বলছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। তাই দ্রব্যমূল্য বাড়লেও কোন সমস্যা নাই। দেশবাসী অনেক ভালো আছেন। বাজার দর নিয়ে যত নেতিবাচক প্রচারণা সব জামায়াত বিএনপি’র প্রোপাগান্ডা মাত্র। এমনি গোয়েবলেসীয় কায়দায় চরম সত্যকে অস্বীকার করে মিথ্যের প্রলেপে বাস্তবতাকে আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফলস্বরুপ ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। জনগণের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দু’মুঠো খাবারের জন্য সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি অব্যাহত। আর বেশীদিন এভাবে চলতে পারেনা। এদেশে কোন স্বৈরাচার টিকতে পারেনি। এই সরকারও পারবেনা। অচিরেই জনবিক্ষোভে তছনছ হয়ে যাবে জুলুমবাজদের তাসের ঘর। এরই অংশ এই কর্মসূচি। আপামর জনগণ এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হলেই ঘটে যাবে বিপ্লব। তখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ