Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

সেচ সঙ্কটে বিপাকে কৃষক

বিরামপুরে চিরির খালের সøুইসগেট অকেজো

বিরামপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২২, ১২:০৬ এএম

বিরামপুর উপজেলার কাটলা-জোতবানি ইউনিয়নের শৈলেন গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিরির খালে নির্মাণ করা হয় সøুইসগেটটি। এটি এখন অকেজো খরা মৌসুমে পানির অভাবে কৃষকেরা রবিশস্য চাষ করতে পারে না। জানা যায়, প্রায় একযুগ পূর্বে খাল খনন কর্মসূচির মধ্যে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর খালের ওপর সøুইসগেট নির্মাণ করে। সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে সুইচ গেটটি। সøুইসগেট নির্মাণের এক যুগ পার হলেও সংস্কারের খোঁজ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। নতুন করে ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এবার পাড় বেঁধে টাকা লুটের নতুন ফন্দি চলছে। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় পানি মেলে না। কাটলা ইউনিয়নের শৈলান গ্রামের পাশে সøুইসগেট এখন পরিত্যক্ত। পরিত্যক্ত সøুইস গেটটির উত্তর দক্ষিণ দিকে ও পশ্চিমপাড়া ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন করে সিসি ব্লক বসানোর কাজ চলছে। দিনাজপুরের মেসার্স মাহি এন্টারপ্রাইজ কাজটি করছে বলে জানা যায়।

সøুইস গেটের পশ্চিম পাশে ক্ষেতে কাজ করছিলেন জোতবানি গ্রামের কৃষক শামসুল আলম (৭০)। তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সøুইস গেটটি নির্মাণের পর আমাদের কোন উপকারে আসেনি। রবি মৌসুমে পানি পাওয়া যায় না। অযথা এটি নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা নষ্ট করেছে। স্থানীয় আরো অনেকে বলেন, যে খালটি সøুইসগেট নির্মাণের পর থেকেই পরিত্যক্ত খালটি সংস্কার করা হয়নি, পুনরায় এবার পাড় বেঁধে সিসি ব্লক বসানোর কাজ কতটা যুক্তি সঙ্গত তার প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।

বিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল সাদিক বলেন, এইখানে সøুইস গেট কেন নির্মাণ করা হয়েছে তা তার জানা নেই। তিনি আরো বলেন তখন আমি এই উপজেলায় ছিলাম না। রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সুইচগেট নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্বেই সøুইস গেট নির্মাণ করা হয়। চলতি অর্থবছরে আরো ৯ লাখ টাকা সিসি ব্লক বসানোর কাজ চলছে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ