Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হরতালের দিনেও তীব্র যানজট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০৩ এএম

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালের দিনেও রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা গেছে। অর্ধ-দিবস হরতালের সকাল থেকেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল ছিল স্বাভাবিক। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজটের তীব্রতা বাড়তে থাকে বিভিন্ন সড়কে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর পল্টন-শাহবাগ এলাকায় অবস্থান নেন বাম জোটের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই অফিসগামী ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মতিঝিল, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, মালিবাগ, বাড্ডা, রামপুরা, গুলশান, মহাখালী, মিরপুর, উত্তরা, খিলক্ষেত, বনানী ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এসব এলাকায় হরতাল সমর্থনে কোনো মিছিল বা অবস্থান কর্মসূচি দেখা যায়নি। যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির তীব্র চাপ দেখা গেছে। গন্তব্যে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। রাস্তায় রিকশা, বাস, প্রাইভেটকার চলাচল স্বাভাবিক দিনের মতোই। সড়কে গাড়ির চাপ তীব্র।
পল্টন ও শাহবাগ মোড় ছাড়া হরতালের প্রভাব কোথাও তেমন দেখা যায়নি। মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা এলাকা হয়ে উত্তরাগামী সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে অপেক্ষা করতে হয় অফিসগামীদের। এতে তারা তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন। হরতালের প্রভাব নেই মতিঝিল ও নিউমার্কেটের মতো ব্যস্ত এলাকাতেও। রাজধানীর মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, আজিমপুর এলাকায় অন্য দিনের মতোই চলছে গণপরিবহন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে বেড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের সংখ্যা। সকাল থেকেই মিরপুর রোডে অন্য দিনের মতোই যান চলাচল করছে। গণপরিবহনের সংখ্যাও স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর গুলশান-১ গোলচত্বর এলাকায় পরীক্ষা স্থগিতসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা। যার কারণে এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার গুলশান গোলচত্বরে এ আন্দোলন শুরু করে। একদিকে হরতাল অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন এ কারণে গুলশান গোলচত্বর এলাকায় ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়।
বেসরকারি চাকরিজীবী দোলন বলেন, এই হরতালটা দেয়ার পেছনে যুক্তি আছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দাম নিয়ন্ত্রণের দাবিতে হরতাল ডেকেছে বাম দল। কিন্তু বেসরকারি চাকরিজীবী মানুষরা তো আর অফিস বন্ধ করতে পারবে না। ২০ মিনিট যাবত বাসের জন্য অপেক্ষা করছি বাস পাচ্ছিনা। এখন কিভাবে অফিসে যাবো ভেবে পাচ্ছি না। আমরা মধ্যবিত্তরা মহাবিপদে। কারো কাছে কোন কিছু বলার নেই।
রাইদা পরিবহনের এক চালক বলেন, রাস্তায় হরতালের কোনো আলামত দেখছি না। গণপরিবহন চলছে, মানুষ স্বাভাবিক নিয়মেই অফিস-আদালতে যাচ্ছে। অন্যদিনের মতো রাস্তায় প্রচুর চাপ রয়েছে।
শিকড় পরিবহনের এক হেলপার বলেন, হরতাল চলছে এটা এইমাত্র জানলাম। এমন হরতাল হলে কেউ ঘরে বসে থাকতে পারবে না। আর আমাদের হরতালই বা কি আর খোলাই কি। কাজ না করলে সংসার চলবে না।
গুলশান এলাকায় কাওছার নামের এক যাত্রী বলেন, হরতালের কারণে গাড়ির চাপ কম থাকবে মনে করেছিলাম। কিন্তু রাস্তায় হরতালের কোনো ছাপ দেখলাম না। দশ মিনিটের পথ ত্রিশ মিনিটেও পাড়ি দেয়া যাচ্ছে না। রাস্তার দুই পাশেই সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ। যানজট ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পড়ে গন্তব্যে যেতে পারছিনা। সময় নষ্ট হচ্ছে অনেক। টাকাও খরচ হচ্ছে বেশি। আমাদের এতো ভোগান্তি আর ভালো লাগে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যানজট

১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
৯ জানুয়ারি, ২০২৩
১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
২৭ নভেম্বর, ২০২২
২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ