Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পীর মুর্শিদদের রুহানীয়াত আছে বলেই বায়তুশ শরফ সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান - মহাপরিচালক এমএম সিরাজুল ইসলাম

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২২, ১০:১৫ পিএম | আপডেট : ১২:০৭ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২২

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী মিলনায়তন মঞ্চে বায়তুশ শরফ শাহ্ কুতুব উদ্দিন হিফজখানার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান মালার। এ সুন্দর আয়োজনে ছিল খতমে কোরআন, পুরষ্কার বিতরণ, ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দো'আ মাহফিল। বাদ মাগরিব মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে শুরু হয় এই অনুষ্ঠানমালা।

২৮ মার্চ ২০২২ ইং সোমবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এর সম্মানিত মহা পরিচালক, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষাগুরু আলহাজ্ব এম.এম সিরাজুল ইসলাম।

জবান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য পীর মুর্শিদরা এই বায়তুশ শরফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথমে একটি মসজিদ দিয়ে শুরু হলেও মাদরাসা, স্কুল, হাসপাতাল, এতিম খানা, হেফজখানা ও কারিগরী শিক্ষার কোন কিছুই বাদ যায়নি। আগামীতে এখানে আরো বড় প্রতিষ্ঠান হবে। এটি মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী। বায়তুশ শরফ একটি সার্বজনীন মানব সেবার প্রতিষ্ঠান। এখানে পীর মুর্শিদদের রুহানীয়াত আছে বলেই বায়তুশ শরফ সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, কুরআন শরীফ মহান আল্লাহর সর্বশেষ কিতাব। কুরআন শরীফ চর্চা হচ্ছে সর্বোত্তম কাজ। বায়তুশ শরফ এজন্য মাদরাসা ও হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি আরো বলেন, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি যেমন এই এলাকায় শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেছে তেমনি মাদরসা এবং হেফজখানা ও এলাকার শ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠান হবে-ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, মরহুম শাহ আব্দুল জব্বার রঃ ও মরহুম বাহারুল উলুম আল্লামা কুতুবউদ্দিন রঃ এর হাত ধরে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স আজ এই পর্যন্ত এসেছে। ভবিষ্যতেও আল্লাহর মেহেরবানীতে তার লক্ষপানে এগিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, বায়তুশ শরফ এর ছাত্রদের ইসলামি শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষায় যোগ্যতা অর্জন করে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।

তিনি হাফেজে কুরআনদের স্বাগত জানিয়ে হেফজ খানার জন্য আলাদা একটা ভবন প্রতিষ্ঠা করার ঘোষনা দেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়তুশ শরফ হাসপাতালের যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম কামাল উদ্দিন, বায়তুশ শরফ জাব্বারিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক সৈয়দ করিম, শাহ কুতুব উদ্দিন আদর্শ দাখিল মাদরাসার সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুরুল আলম, আলহাজ্ব ফরিদুল আলম তালুকদার, তানজিমুল উম্মাহ মাদরাসার পরিচালক রিয়াদ হায়দার, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, বায়তুশ শরফ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানাজার শহিদ উদ্দিন মুহাম্মদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল, ইসলামী সংগীত সম্রাট খ্যাত, বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকার, চট্টগ্রাম আল-মদিনা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আসহাব উদ্দিন আল-আযাদ। চট্টগ্রাম নব-জাগরণ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, আলমগীর বিন-কবির, চট্টগ্রাম আল-মাহদী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুহাম্মদ আলী (আলী বাবা)।

এ ছাড়াও শিশু শিল্পী ফয়সাল ফয়েজ, আশহাদ, আবু বকর, ইমাম হোসেন এর পরিবেশনায় ইসলামী যৌথ সংগীত।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, এস কে এম মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম মানিক, মাওলানা হাসান মুরাদ ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

গত একযোগ আগে স্থাপিত বায়তুশ শরফ শাহ্ কুতুব উদ্দিন (রঃ) এর স্মৃতিবিজড়িত এই হিফজখানা থেকে ইতোমধ্যে শতাধিক শিশু হাফেজে কুরআন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। চলতি বছরও ১২ জন শিশু হেফজ শেষ করে সনদ গ্রহণ করেছেন।

গত বছর থেকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে হেফজ শেষ করা ছাত্রদের নিয়ে এই মনোমুগ্ধকর আয়োজন শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পীর মশায়েখদের রুহানিয়াতের মাধ্যমে পরিচালিত একটি মানব সেবা প্রতিষ্ঠান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ