বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার সঙ্গে সংযোগকারী সড়ক পুনঃনির্মাণ ও ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের খামখেয়ালীপনায় সড়কটি খুড়ে ফেলে রাখায় ধুলোবালুতে ওই সড়কের দুইপাশে বসবাসরত বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বর্তমানে সড়কটি ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ব্যস্ততম এ সড়কটি সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রাস্তার ধুলার কারণে এলাকাবাসীর দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যথাসময়ে ওই সড়কের কাজ সমাপ্তি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত ভুক্তভোগিরা।
জানা গেছে, আমতলী-তালতলী-ফকিরহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই আঞ্চলিক সড়কটি দিয়ে সোনাকাটা ইকোপার্ক ও শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে মানুষ যাওয়াত করে। ওই সড়কটিতে আমতলীর মানিকঝুড়ি বাজার থেকে কচুপাত্রা বাজার পর্যন্ত ও কচুপাত্রা বাজার থেকে তালতলী তিন রাস্তা বটতলা পর্যন্ত মিনি পুকুর এবং ১৫ থেকে ২০ গজ দুরত্বে বড় বড় খানাখন্দে ভরপুর থাকায় প্রায় ৪ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ওই দুটি ট্যুরিষ্ট স্পটে পর্যটকদের ভ্রমন। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে দু’উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। পথচারী ও এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এদিকে ওই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত পণ্যবাহী ট্রাক, ভ্যান, ট্রাক্টর, মাহেন্দ্রা, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস চলাচল করায় ধুলায় নাকাল হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ধুলাবালির সঙ্গে পথচারীদের পাশাপাশি সড়কের পাশে বসবাসকারীদের যেন নিত্য বসবাস। উন্নয়ন কার্যক্রমের নামে সড়কটি খুঁড়ে কাজ না করার কারণে এবং সড়কে ধুলাবালির পরিমাণ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় বিষিয়ে উঠেছে পরিবেশ। এ ছাড়াও ওই সড়ক দিয়ে দু’উপজেলার সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। অন্যদিকে এ সড়কের দু’ধারে গড়ে ওঠা গ্রামবাসীর অবস্থাও নাকাল। সড়কের পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘর-বাড়ি প্রতিদিন ধুলায় ধুসর হয়ে যায়। যানবাহন চলাচলের সময় পথচারী কিংবা অন্য ক্ষুদ্র যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও পথচারীদের চলাচল করতে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে ধুলাবালি উড়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় পথচারীরা শ্ব¦াসকষ্ট, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চলতি বছর জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদার সড়ক পুনঃনির্মাণ ও ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। শুরুতে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় দু’উপজেলার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এলেও দরপত্রানুসারে যথা সময়ে নির্মাণ কাজ শেষে হওয়া নিয়ে এখন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত ভুক্তভোগী মানুষজন। সামনে বর্ষা মৌসুমে আমতলী- তালতলী সড়কপথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করছেন। আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন আমতলী- তালতলী ্আঞ্চলিক সড়কটি পুনঃনির্মাণের জন্য লাঙ্গল দিয়ে খুঁড়ে ফেলে রাখা ও ব্রিজটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, সড়ক ও গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ দরপত্রানুসারে শুরু করে অজ্ঞাত কারনে ঠিকাদার ওই কাজ বন্ধ করে রেখেছেন। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শুরু করতে ও নির্দ্দিষ্ট সময়ে শেষ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদার মোঃ সগির হোসেন মুঠোফোনে সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ কাজ ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী সময়সীমার মধ্যে সড়ক ও ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
বরগুনা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জি মুঠোফোনে বলেন, আমি সম্প্রতি বরগুনায় যোগদান করেছি। আমি ওই সড়ক ও ব্রিজটির বিষয় যেনে দ্রুত ঠিকাদারকে কাজ শুরু করার জন্য তাগিদ দিবো এবং কার্যকরী ব্যবস্থা নিবো। এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ মুঠোফোনে বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে সড়ক ও ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।