পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে জানতে হবে আগামীতে নিজেকে কোন বিশেষ অবস্থানে দেখতে চায়। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যেন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ভর্তি করিয়ে আবাসন, খাবার, ক্লাসরুম সংকট যেন না হয়, এসব নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা শুধু সংখ্যার দিকে তাকাব না, আমাদের ভারসাম্যতার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। তাই শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি নয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু : বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষকদের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের চেয়ে একাডেমিক মাস্টারপ্লানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস যাতে সুন্দরভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা যায়, সে সম্পর্কে সরকার সচেষ্ট রয়েছে এবং তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে চিনবার, জানবার এবং বুঝবার একটা বড় প্রয়োজন আমাদের জন্য আছে। বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমরা এ ভূখণ্ডকে জানব, আমরা এ ভূখণ্ডের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নের কথা জানব। আমরা সেই অতীতের ওপর ভিত্তি করে, বর্তমানে দাঁড়িয়ে, কোন ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই, তার একটা স্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাব, সেজন্যে বঙ্গবন্ধুকে জানা খুব জরুরি। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, পঁচাত্তরের হত্যাকারী, ২০০১ থেকে ২০০৬ এর হত্যা, নির্যাতনকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, ২০১৩-১৪ এর অগ্নিসন্ত্রাসী ওই একই অপশক্তি আমাদের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা-উন্নয়নের বিরুদ্ধে, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে, তার মাধ্যমে সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান। ভিসি অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সীমিত সুযোগ-সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা থেমে নেই। এমনকি করোনা মহামারি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ ছিল না। আলোচনা সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অন্যান্য সদস্য, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।