বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি’র) বাফার গুদামে ঢুকতে না দেয়া ৭০ মেট্রিক টন টিএসপি সার পুরোটাই ভেজাল বলে ল্যাব টেস্টে পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার তদন্ত রিপোর্ট টিএসপির এমডির কাছে জমা দিয়েছেন। সেখানে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেবার সুপারিশ করা হয়েছে।

যশোরে গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলাম গতকাল রোববার জানান, ১৭ মার্চ ওই সার যশোর গুদামে এসে পৌঁছায়। সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেংগা টিএসপি সার কারখানা থেকে ৬ টি ট্রাকে করে ৭০ মেট্রিক টন সার গত ১৫ মার্চ রাতে যশোর সদরের বাহাদুরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত বাফার গুদামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় ট্রাক বোঝাই সার দেখে তার সন্দেহ হলে তিনি খালাস বন্ধ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। ওই দিনই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডে লিখিত আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রাকসহ সারগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেয়। জানা যায়, গত ২১ মার্চ টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি যশোরে এসে জব্দকৃত সারের নমুনা সংগ্রহ করে চট্রগ্রামের সার কারখানার পরীক্ষাগারে নিয়ে যান। টিএসপির উপ প্রধান হিসাব রক্ষক ও তদন্ত কমিটির সদস্য নির্মল কুমার দত্ত বলেন, ল্যাব পরীক্ষাগারে টেস্টে দেখা গেছে সব সারই ভেজাল। আমরা ধারণ করছি যোগসাজসে সড়ক থেকে আসল সার নামিয়ে এই ভেজাল সার উঠানো হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে টিএসপির এমডির কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে ডিএফপিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গঠিত কমিটি আমার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।