বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুর জেলাজুড়ে ঝিনাইগাতী উপজেলাসহ আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন। হাট-বাজার সয়লাব পলিথিনে। প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহারে জেলা-উপজেলা সদরগুলো এবং গামাঞ্চলের হাট-বাজার এখন সয়লাব। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ ও প্রাণীকূলের। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, প্রসাধনী কিনলেই পলিথিনে ঢুকিয়ে দিচ্ছে দোকানীরা। জানা যায়, ১৯৮২ সালে শুরু হয় পলিথিন ব্যাগের প্রচলণ। ব্যবহারে সুবিধা-স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় ঘরে ঘরে ব্যবহার বাড়তে থাকে। তেমনি পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তাও প্রকাশ পায়। সরকারের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ২০০১ সালের মার্চ থেকে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন,বাজারজাত এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন। শেরপুর জেলা ও উপজেলা সদরসমূহে এবং গ্রামাঞ্চেলের হাট-বাজারে চলছে বিক্রি ও অবাধ ব্যবহার। ব্যবহারের পর পরিত্যাক্ত পলিথিনে কৃষি জমি ওপরিবেশ দুষিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ. হুমায়ুন কবির বলেন, পলিথিন দীর্ঘদিনেও মাটির সাথে মিশেনা বা পঁচেনা। বিষক্রিয়ায় জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, পলিথিনে খাদ্যদ্রব্য শরীরে রোগ দেখা দেয়। মরনব্যধি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
অথচ শেরপুর জেলা ও উপজেলাসহ দেশে চলছে দেদার ব্যবহার।পলিথিন বিক্রিতে পরিবেশ অধিদপ্তরেরও নেই মাথা ব্যাথা। স্থানীয় প্রশাসন ইতোপূর্বে মাঝে-মধ্যে অভিযান চালালেও বর্তমানে পড়েছে ভাটা।অভিযান ক্ষুদ্র পরিসরে হওয়ায় মূলঅপরাধীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাবতো পড়ছেই,বাড়ছে জলাবদ্ধতা ও জনস্বাস্থ্যে সৃস্টি হচ্ছে হুমকি।কমে যাচ্ছে জমির উর্বরা শক্তি-কমছে উৎপাদন। পরিবেশবান্ধব পাট গবেষনায় সরকারের সাফল্যের ঢাক-ঢোল পেটানো হলেও পলিথিনের বিকল্প পাটজাতপণ্যকে গ্রহনযোগ্য বা প্রচলনের ব্যবস্থা করা হচ্ছেনা। দেশে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারী ঢাকা এবং ১ মার্চ সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় নিষিদ্ধ করা হয় পলিথিন। প্রসঙ্গঁত.পলিথিনের কারণেই ১৯৯৮ সালে বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পয়ঃনিস্কাশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করেন। ২০০২ সালে সরকারের শক্ত আইন প্রয়োগে পলিথিনের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ২০০৬ সলে আবারো সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরকারের শিথিলতার সুযোগে আবির্ভাব ঘটে পলিথিনের। কাঁচাবাজার, খুচরা পণ্য এবং ফলের দোকানে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, দোকনী শাক দিলেন এক পলিথিন ব্যাগে, আলু অরেকটি ব্যাগে।এভাবে শাকসবজি-তরিতরকারীর সাথে মোট ৮-১০ টি ব্যাগ দিলেন বিক্রেতা। এভাবেই প্রত্যেক দোকান থেকে দেয়া হচ্ছে। শুধু কাঁচাবাজারে নয়, সারাদেশের হাট-বাজারের চিত্র এটি মন্তব্য করলেন ঝিনাইগাতী উপজেলার শতবর্ষী ডা: আব্দুল বারী, জুয়েলারী সমিতির সভাপতি সরোয়ার্দী দুদু মন্ডলও সাবেক ইউপি চেয়াম্যান আইয়ুব আলি ফর্সা। ক্রেতারা জানান, চটের ব্যাগ কিনতে হয়,পলিথিন ব্যাগে পয়সা লাগে না, ব্যবহারেও সুবিধা। তাই বাড়ছে ব্যবহার। পলিথিন ড্রেন, নালা-নর্দমা, ডোবা-খাল ইত্যাদি ভরাট করে পানির প্রবাহ থামিয়ে দিচ্ছে। দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা-বন্যা এবং জনস্বাস্থ্য সমস্যার। কৃষিতেও ডেকে আনছে ভয়াবহ অবস্থা। কমে যাচ্ছে জমির উর্বরা শক্তি। নষ্ট হচ্ছে বৈচিত্র। আইন থাকলেও কার্যকর না থাকায় পলিথিনের চলছে রমরমা ব্যবসা। জানা যায়, দেশে এক হাজার পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন কারখানা রয়েছে। পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প, পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ ব্যবহার জরুরী। পাট-কাপড় ও কাগজের ব্যাগ উদ্ভাবন -ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিতকরণও পলিথিন ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।