Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামের বাঁশজানী সীমান্তে বাঘের আতংক

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২২, ২:৫৯ পিএম

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দক্ষিণ বাঁশজানী ঝাকুয়াটারী গ্রামে দুইটি বাঘের দেখা মেলেছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।

শনিবার(২৬ মার্চ) রাতে পাথরডুবি ইউনিয়নের ওই গ্রামে বাঘ দুটিকে দেখতে পান তারা। এ ঘটনায় ওই এলাকার মানুষদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কফিলুর রহমান বলেন, ২৫ মার্চ গভীর রাতে বাঘের গোঙানী শব্দ শুনে আমার স্ত্রী আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার পর দুজনে জানালা খুলে বাড়ির প্রবেশ গেটে দুটি বাঘ সদৃশ্য প্রানী দেখতে পাই। এলাকাবাসী আমার কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস না করলেও শনিবার (২৬ মার্চ)বিকালে একটি বাঁশঝাড়ে প্রাণি দুটিকে এলাকাবাসী দেখার পর এলাকাবাসীর মধ্যে বাঘ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।'

তার স্ত্রী মোছাঃ সাহেরা বেগম বলেন,'সন্ধার পর ঝাকুয়াটারী ব্রিজের দু মাথায় দুটি বাঘের মতো প্রাণি দাঁড়িয়ে ছিল সেটাও অনেকেই দেখে আতংকিত হোন।'

ওই গ্রামের মইদাম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার (২৬ মার্চ) বাদ মাগরিব তিনি তার বাগানে কালো ডোরাকাটা চিতাবাঘ সদৃশ ২টি প্রাণি দেখতে পান। তবে প্রাণি দুটি চিতাবাঘ না অন্যকোন প্রাণি সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

এর আগেও গত শুক্রবার রাতে কফিল নামে এক ব্যক্তি বাঘ সদৃশ প্রাণি দেখেছেন বলে তিনি জানান ।

ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান,এলাকাবাসীর মধ্যে বাঘ আতংক ছড়িয়ে পড়ায় শনিবার রাতেই বিষয়টি ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে অবহিত করে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা বনবিভাগকে জানিয়েছি। তবে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা এলাকার কারণে অনেক সময় মেছো বাঘ ঢুকতে পারে। তবে এলাকাবাসীকে প্রাণি দুটিকে হত্যা না করে আটকের পর বনবিভাগের নিকট হস্তান্তর করার আহবান জানান তিনি ।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন,' ঘটনাস্থলে আমাদের বনবিভাগের লোকজন এবং বিজিবির সদস্যরা রয়েছেন। বাঘ সদৃশ্য কোন প্রাণিকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।'

গ্রামবাসীকে আতংক না হবারও পরামর্শ দিয়ে এই কর্মকর্তা আরও জানান,কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকায় ৮ বছর আগে বাঘ দেখা গিয়েছিলো। পুনরায় বাঘ দেখা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ