পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাত উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, উপজেলাগুলোতে সাংগঠনিক স্থবিরতা, ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগসহ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্বে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বিরাজ করছে স্থরিবতা।
প্রায় ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথমে মুরাদনগরের বাসিন্দা ম.রুহুল আমিনকে সভাপতি ও দেবিদ্বারের বাসিন্দা রোশন আলী মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক এবং এক বছর পর ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি হওয়ার পরও নেতৃত্বের অভ্যন্তরীন কোন্দলের খেসারত দিচ্ছে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা মনে করেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মনস্তাত্ত্বিক দূরত্বের কারণে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলটি। এসবের প্রভাব পড়ছে উপজেলা কেন্দ্রিক সাংগঠনিক কার্যক্রমে। কেননা কমিটি গঠনের প্রায় দুই বছর পার হলেও মেয়াদোত্তীর্ণ কোন উপজেলার সম্মেলন বা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে পারেনি।
সাত উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উত্তর জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই এমপির পেছনে সময় ব্যয় করতে গিয়ে দল নিয়ে ভাবার সময় পাননা। আবার তাদের দুইজনের মধ্যে সম্পর্কেরও টানাপোড়েন রয়েছে। এসবের প্রভাব তৃণমূলের রাজনীতিতে পড়ছে। কেবল তাই নয়, সমন্বয়হীনতার কারণে সদ্য শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে সাত উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নে নৌকার সঠিক মাঝি না দেওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বর্তমান কমিটি দুই বছরেও দলটিতে সাংগাঠনিক গতিশীলতা আনতে পারেনি।
এছাড়াও ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর বিতর্কিত নারীনেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করার ব্যাপারে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভূমিকা রাখায় তৃণমুলে এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। যদিও ২০২১ সালের জুন মাসে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কারনদর্শানোর নোটিশের মাধ্যমে কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এসব বিষয়ে মুঠোফোনে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের সভাপতি ম.রুহুল আমিন জানান, সাংগঠনিক নানা সমস্যায় জর্জরিত দলটির ২৭ বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতির দায়িত্ব পেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য আরও একবছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরপর মহামারি করোনার তাণ্ডব। এসব কারণে আমরা উপজেলাগুলোতে সম্মেলন বা কমিটি করতে পারিনি। আশা করি উপজেলাগুলো তথা উত্তর জেলায় সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।