Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুবিতে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২২, ৬:৫২ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ মার্চ) প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনি আলমের সঞ্চালনায় ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ৭ই মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবসের চূড়ান্ত ঘোষণা হলো ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। ওই ভাষণেই পরোক্ষভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল পাশাপাশি যুদ্ধে বাঙালির করণীয় বলে দেয়া হয়েছিল। যার পরবর্তীতে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জন্ম নেয় আজকের এই বাংলাদেশ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে স্মৃতিচারণ করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ হচ্ছে একজন মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। যিনি ভারতবর্ষের বিভক্তির পর থেকেই একটি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। তাইতো তিনি পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে সবসময় পূর্ব বাংলা বলে সম্বোধন করতেন এবং এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম সোনার বাংলা উপহার দিয়েছেন। তাই আজকের আলোচনার সভার উদ্দেশ্য হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতিচারণ করে বলেন, এই মহান দিবসটি একদিকে যেমন আমাদের গৌরবউজ্জল ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেয় তেমনি পাকিস্তানি স্বৈরাচার শাসকের শোষণ নির্যাতন এবং ভয়াল দিনগুলোর কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেই মানুষ গুলো নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছে আমরা কখনোই তাদের ঋণ শোধ করতে পারবোনা। কিন্তু যে জন্য তারা শহিদ হয়েছেন চাইলে সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারবো। তাই এই বিশেষ দিনটিতে আমাদের অঙ্গীকার হোক একটি সুখি সমৃদ্ধ স্বপ্নীল বাংলাদেশের।

এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফসহ কর্মচারীবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ