Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গাজীপুরে টিসিবি পণ্য কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় কাউন্সিলর মামুন মন্ডলকে শোকজ

আসামীর রিমান্ডের সুরাহা হয়নি

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২২, ৭:৫০ পিএম

গাজীপুরের বোর্ডবাজারে টিসিবির পণ্য কালোবাজারের বিক্রির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর রিমান্ডের আবেদনের সুরাহা বৃহস্পতিবারও হয়নি। এর আগে গত রবিবার রাত ১১টার দিকে ৯৯৯ ফোন পেয়ে বোর্ডবাজারের মোহার খান ওয়াকফ এস্ট্যাট মার্কেটের মো. শাহীনের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান টিাসবির পন্য সহ ব্যবসায়ী শাহীনকে গ্রেফতার করে গাছা থানা পুলিশ। পরদিন সোমবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রিমান্ড শুনাণী শেষে বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে রিমান্ড প্রদানের দিন ধায্য ছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রিমান্ড প্রদানের রায় হয়নি বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন।

টিসিবি পণ্য কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী বজলুর রশিদ ও গাছা জোনের (অঞ্চল-৩) নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা শাহরীন মাধবী। এ কমিটি বুধবার থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে এবং টিসিবি পণ্য ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘মা জেনারেল স্টোর’ ও গোডাউন সীলগালা করেছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, টিসিবি পণ্য ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডলের কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তদারকি করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। তদন্তে যেই দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে আইনী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জারা-সারা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ আহমেদ শান্ত জানান, ঘটনার দিন রোববার তিনি কাউন্সিলর কার্যালয় প্রাঙ্গনে ট্রাকে করে নির্ধারিত ৫২৫ জন কার্ডধারীর মধ্যে ৩৩৫ জনের কাছে পণ্য সরবরাহ করেন। বাকি কার্ডধারীদের না পেয়ে সন্ধ্যার পর তিনি ১৯০ জন কার্ডধারীর পণ্য ওয়ার্ড সচিব আবু সাঈদ এর কাছে বুঝিয়ে দিয়ে কাউন্সিলররের কাছ থেকে বিক্রির প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, রবিবার রাত ১১টার দিকে ৯৯৯ ফোন পেয়ে বোর্ডবাজারের মোহার খান ওয়াকফ এস্ট্যাট মার্কেটের মো. শাহীনের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। এসময় টিসিবির মোড়কযুক্ত ৩৭ বোতল সোয়াবিন তেল (৭৪ লিটার), ৩৭ প্যাকেট চিনি ও ৩৭ প্যাকেট ডাল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যবসায়ী শাহীন পুলিশকে জানায় পণ্যগুলো স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম ও রফিক নামে দুই ব্যক্তির কাছে থেকে প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৩০০ টাকা করে (প্রতি লিটার ১৫০ টাকা দরে), চিনি ৬০ টাকা কেজি এবং মসুর ডাল ৭০টাকা কেজি দরে ক্রয় করেছেন। জাহাঙ্গীর ও রফিক ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডলের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছেও এসব পণ্য বিক্রি করেছেন।

তবে বরাদ্ধের পণ্য বিক্রি করার কথা অস্বীকার করে কাউন্সিলর মামুন মন্ডল জানান, এসব পণ্য অন্য এলাকা থেকে এনেও কেউ বিক্রি করে থাকতে পারে। আর জাহাঙ্গীর ও রফিক নামে তার কোন ব্যক্তিগত সহকারী নেই। এই নামে কাউকে তিনি চিনেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ