বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় চলছে ক্লাস । প্রখর রোদে পুড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।অথচ শিক্ষাঙ্গনের ভবন নির্মাণ অসমাপ্ত রেখে চলে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন অবস্থা চলছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম অ্যান্ড ভোকেশনাল মাদরাসায়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪মার্চ) ওই মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। একজন শিক্ষক রোদে পুড়ে ঘেমে অস্থির। তিনি পাঠদান করছিলেন।
কথা হয়, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আফজাল বিন নাজিরের সঙ্গে। তিনি জানান, রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাশে ১৯৫২ সালে ঐতিহ্যবাহী ওই মাদরাসাটি গড়ে ওঠে। মাদরাসাটিতে এবতেদায়ি, দাখিল, ভোকেশনাল ও আলিম শাখায় শিক্ষা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের ফলাফল সন্তোষজনক এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক।
তিনি জানান, গত ২০১৯ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে মাদরাসাটির একটি চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই ভবনের জন্য প্রথমত একতলা নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর। ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা নয় মাসে। ভবন নির্মাণের সুবিধার্থে এর পুরনো টিনসেড ভবনটি ভেঙে ফেলতে হয়। এদিকে ভবন নির্মাণ হচ্ছে না অপরদিকে পুরনো শ্রেণিকক্ষ ভেঙে ফেলায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে চরম শ্রেণি সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি (মাদরাসার অধ্যক্ষ) এনিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। এদিকে কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি শিথিল হওয়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন ওই মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মাদরাসাটির নবম শ্রেণির ছাত্রী তাবাসসুম আক্তার বলে, শ্রেণিকক্ষ না থাকায় আমরা বড় কষ্টে আছি। ছেলে-মেয়েদের যেহেতু একই ক্লাসে পড়তে হয়, তাই অন্যান্য সমস্যা হচ্ছে।
এনিয়ে কথা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিরাজ ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। নয় মাসের কাজ তিন বছরেও সম্পন্ন হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম। এর মধ্যে আমার মা মারা গেছেন। খুব দরুত কাজটি শেষ করা হবে।
নীলফামালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, আমার জানা মতে নির্মাণ কাজ থেমে নেই। আর যদি বন্ধ হয়ে থাকে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।