Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

আবারো সংশোধন করা হচ্ছে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান। এবার মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

এর আগে সমালোচনার মুখে গত ১৮ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকার সাহিত্য ক্যাটাগরি থেকে মরহুম মো. আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সংশোধিত তালিকায় ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

গত ১৫ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। সাহিত্য ক্ষেত্রে মরহুম আমির হামজাকে রাষ্ট্রীয় এ সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। তালিকা ঘোষণার পরই আমির হামজাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। খ্যাতিমান লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের বাইরে একেবারে অচেনা আমির হামজার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়ে উঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

গত ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ৮৭ বছর বয়সে আমির হামজা মারা যান। বলা হচ্ছে, আমির হামজা একজন মরমী গায়ক, গান লিখেছেন। তার তিনটি বই প্রকাশিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে মাগুরার শ্রীপুরের সারথি ফাউন্ডেশন থেকে ‘বাঘের থাবা’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। পরে ২০১৯ সালে এই বইয়েরই গান অংশ নিয়ে বের হয় আরেকটি বই, পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি। এছাড়া একুশের পাঁচালি নামেও তার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। মূলত সরকারের উপসচিব মো. আসাদুজ্জামান তার সাহিত্যিক বাবার নাম স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেন। এতে সমর্থন দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
একইসঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, প্রয়াত আমির হামজা মো. শাহাদাত হোসেন ফকির নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ঘটনা এটি। গরুর ক্ষেতের ফসল খাওয়ার ঘটনা নিয়ে খুনের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমির হামজা ও তার ভাইসহ মোট ৬ জনের কারাদণ্ড হয়। আট বছর জেল খাটার পর ১৯৯১ সালের মাগুরার এক মন্ত্রীর সহায়তায় বেরিয়ে আসেন আমির হামজা।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে এবার ছয়জন স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদদীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস এবং মরহুম সিরাজুল হক। চিকিৎসাবিদ্যা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম। ‘স্থাপত্যে’ মরহুম স্থপতি সৈয়দ মঈনুল ইসলাম স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ ক্ষেত্রে পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট। স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ