Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে ২৫০ জন নার্স কর্তৃক হাসপাতাল পরিচালক অবরুদ্ধ, অপসারণের দাবি

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২২, ১০:১৭ পিএম

করোনাকালীন সময়ে প্রণোদনা টাকা না পেয়ে হাসপাতালের ২৫০ নার্স এবং ৫০ জন বয় এক হয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন ঘন্টাব্যাপী। সর্বশেষ বুধবার (২৩ মার্চ) রাতে পরিচালক সহ সিনিয়র ডাক্তাররা একটি অফিস বৈঠকে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে হাসপাতালের উত্তপ্ত পরিবেশের সমাধান করবেন।

নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের প্রণোদনা ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণও দাবি জানিয়েছেন সারাদিন। বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পরিচালকের কক্ষে অবস্থান নেন হাসপাতালের বিক্ষোভকারী এসব নার্স এবং ওয়ার্ড বয়সহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।

এ সময় ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে রোগীদের সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেন তারা। পরে চিকিৎসক নেতারা মধ্যস্থতায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা প্রণোদনার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স গণমাধ্যমকে জানান, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনাকালীন সময়ে যে সব নার্স দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার কথা থাকলেও তা না পাওয়ায় তারা হাসপাতালের পরিচালককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

তারা আরও জানান, পরবর্তীকালে প্রণোদনার অর্থ দেওয়ার আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা।

হাসপাতালটির নার্স ও ওয়ার্ড বয় অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব আফসানা আক্তার শান্তা গণমাধ্যম কে বলেন, যারা করোনায় সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়েছেন তাদের জন্য গত বছরের জুলাইয়ে সরকার ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিচালকের খামখেয়ালির কারণে সেই প্রণোদনার মধ্যে ১ কোটি টাকা ফেরত চলে গেছে।

আমরা এই অযোগ্য পরিচালকের অপসারণ দাবি করছি। পাশাপাশি আমাদের ন্যায্য পাওনার দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান গণমাধ্যম কে বলেন, টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর আমরা একটি কমিটি গঠন করি দেই। সেই কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে ঢাকার হিসাব রক্ষণ (এজি) অফিসে পাঠানো হলে সেখান থেকে জানানো হয় প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। এ খবর জানতে পেরে কিছু হাসপাতালের স্টাফ বিক্ষোভ করেছে।

তিনি জানান, প্রয়োজনীয় অর্থ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সমস্যা নিরসন হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার গণমাধ্যম কে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। নার্সদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

এ ব্যাপারে, ফরিদপুরের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল জলিল বলেন, বিক্ষোভের খবর পেয়েই আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের সাথে আলোচনা করে ১০ দিনের সময় নেওয়া হয়েছে। তারা আশ্বস্ত হয়ে আবার কাজে ফিরে যায়।

২৩ মার্চ রাতেও কম সময়ের জন্য জরুরি সভা হয়, এই ঝামেলা মিটাতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ