প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’ গ্রহণ করেছেন বিজয়ীরা। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদকে এ বছর দেওয়া হয়েছে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। বুধবার (২৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তিনি। আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করে মঞ্চে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুগ্ধ করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ।
রাইসুল ইসলাম আসাদ পুরস্কার মঞ্চে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধ ও চলচ্চিত্রে তার যুক্ত হওয়ার ঘটনা। তিনি স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বক্তব্যে এই অভিনেতা সেলিম আল দীনের পথনাটক ‘চরকাঁঁকড়া ডকুমেন্টরি’র সংলাপও আওরান। শেষ করেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে।
আসাদ বলেন, ‘যুদ্ধ ফেরত আসাদকে জোরজবরদস্তি করে চলচ্চিত্রে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ বেতার-মঞ্চ, ৭৩ সালে চলচ্চিত্র। যারা ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাদ পড়ার ভয়ে তাদের কারও নাম স্মরণ করছি না। তবে একজনের কথা বলতেই হয়- সোহেল সামাদ। সহযোদ্ধা। বয়সে ছোট, অধিকারে বড়। ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের ২৫ বা ২৬ তারিখে প্রথম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঢাকায়। সেখানেই আমার কণ্ঠকে প্রথম ব্যবহার করা হয়। সোহেল সামাদ আমাকে মঞ্চে তুলে দেয়। ব্যস শুরু হয়ে গেল। কৃতজ্ঞতা জানাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতি; যারা আমাকে এ সম্মানের উপযুক্ত মনে করেছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের সবার পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
রাইসুল ইসলাম আসাদের বক্তব্য ও স্লোগানে মুগ্ধতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা স্লোগান অনেকদিন হারিয়ে গিয়েছিল। যে স্লোগান দিয়ে লাখো মানুষ বুকের রক্ত দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তেমনই একজনের মুখে স্লোগানটি শুনে সত্যিই আবারও মুগ্ধ হয়েছি। তাকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন রাইসুল ইসলাম আসাদ। ১৯৭২ সালে তিনি মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে ‘আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ। তিনি পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩), অন্য জীবন (১৯৯৫), দুখাই (১৯৯৭), ও লালসালু (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ৪৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।