প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ধর্মীয় বিভাজন উস্কে দিতে তৈরি বিজেপির প্রোপাগণ্ডা মুভি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিলেন অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা। সিনেমার চিত্রনাট্য অনুযায়ী তৎকালীন রাজ্য সরকারের দিকে উঠছে ঘটনায় নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ। সেই নিয়েই মুখ খুললেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি কাশ্মীর ফাইলস-কে বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছবি বলে অভিহিত করলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে তার বার্তা, ''১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকাছাড়া করার ঘটনার জন্য আমাকে দায়ী মনে হলে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিতে পারেন।''
১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে উৎখাত করার বানোয়াট ঘটনায় মুসলিমদের দায়ি করে তৈরি হয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এই ছবি সম্পর্কে ফারুখ আবদুল্লা বলেন, ''এই সিনেমা একটি বিশেষ প্রোপাগান্ডা নিয়ে তৈরি। এমন একটা ঘটনার কথা সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যা উপত্যকার প্রত্যেকের জন্য একইরকম মর্মান্তিক ছিল। ওই মর্মান্তিক ঘটনার কথা ভাবলে আজও আমার মন কাঁদে। আজও রক্তাক্ত আমার হৃদয়। আসলে এই সিনেমাটাকে ব্যবহার করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল নিজেদের নৈতিক দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে।''
এখানেই শেষ নয়, ফারুখ আবদুল্লা বলেন, ''কে বা কারা সেদিনের ঘটনার জন্য দায়ী, সেই সত্যিটা জানতে হলে একজন সৎ বিচারকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন খোঁজ নিয়ে দেখা হোক। যদি তাতেও বলা হয় ঘটনার জন্য ফারুখ আবদুল্লাই দায়ী। তাহলে আমি দেশের যেকোনও জায়গায় ফাঁসিকাঠে ঝুলতে রাজি। আমি যেকোনও ট্রায়ালের জন্য তৈরি কিন্তু যারা এর জন্য দায়ী নন, দয়া করে তাদের দোষী করবেন না।''
১১ মার্চ মুক্তি পেয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ফারুখ আবদুল্লা। ১৯৯০-এর দশকে যেভাবে কাশ্মীরি হিন্দুদের উপত্যকা ছাড়া করা হয়েছিল এবং তার জন্য যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, এই ছবি তারই বানোয়াট গল্প বলে। ছবির বক্তব্য অনুসারে তৎকালীন রাজ্য সরকার এই গোটা ঘটনায় ছিল নিস্ক্রিয়।
এই অভিযোগ উড়িয়ে তৎকালীন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''যদি মানুষ সত্যিই সত্যিটা জানতে চান, তাহলে তাদের এমন মানুষের সঙ্গে কথা বলা উচিত যারা সেসময় ভুক্তভোগী। তারা মুসার রাজার সঙ্গে কথা বলতে পারে। তিনি ছিলেন সেমসয় আমার সেক্রেটারি। আমি সেমময় কী কী করেছিলাম ও বলতে পারবে। কথা বলতে পারেন আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গেও। ও সেসময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিল।'' সব মিলিয়ে কাশ্মীরি ফাইলস সিনেমা নিয়ে সরগরম উপত্যকা। সরগরম রাজনৈতিক মহলও। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।