Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবি : তিন বন্ধু ফিরলেও ফিরেনি জাবেদ

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২২, ৯:৫৯ এএম

আব্দুল আল জাবেদ, ওমর, মাহফুজ ও কাওকাবুর রহমান বাল্যকালের বন্ধু। তারা চার বন্ধু বহুদিন পর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মুন্সিগঞ্জকে নির্ধারিত করেন। উদ্দেশ্য মোতাবেক রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ থেকে ‘এম এল আফসার উদ্দিন’ নামের লঞ্চটিতে রওনা হন।
লঞ্চে উঠার আধঘন্টার মধ্যেই জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হন এই চার বন্ধু। লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় পৌছালে রূপসী-৯ নামের মালবাহী জাহাজটি ধাক্কা দিয়ে প্রায় একশ ফুট ঠেলে নিয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবিয়ে দেয়।
আনন্দ উল্লাসের এক ভ্রমণ এখন বিষাদের ছায়ায় ছেয়ে আছে। কাওকাবুর রহমান সহ তারা তিন বন্ধু বেঁচে ফিরলেও এখনো নিঁখোজ আব্দুল আল জাবেদ। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় সে নিখোঁজ হয়।
কিভাবে লঞ্চটি ডুবে গেল, সেই প্রসঙ্গে কাওকাবুর রহমান বলেন, লঞ্চের কাছাকাছি জাহাজটি চলে আসলে আমরা সবাই লঞ্চ চালক দ্রুত চালাতে বলি। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই জাহাজ লঞ্চের খুব কাছে চলে আসে। জাবেদ ছাড়া ওমর, মাহফুজ আর আমি তিনজন ভালোই সাঁতার পারতাম। আমরা ঠিক সবাই নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
জাবেদ সাঁতার না পারার কারণে কিছুটা ভয় পাচ্ছিলো। জাহাজ ধাক্কা দিলে আমরা নদীতে লাফ দেই। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ডুবে যায় লঞ্চটি। আমরা তিনজন একসাথে থাকলেও জাবেদকে আর পাইনি। আমাদের বন্ধুকে উঠাতে পারিনি। ট্রলারের লোকজন আমাদের তিনজনকে তীরে নিয়ে আসে। আমরা তো বেঁচে গেছি কিন্তু আমাদের বন্ধু এখনো নিখোঁজ।
আব্দুল আল জাবেদের স্বজনেরা তার লাশের অপেক্ষায় নৌকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখোজি করলেও তার পিতা ওয়াহিদ সিদ্দিকী এখনো ছেলের জীবিত হওয়ার আশায় বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করাচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ