কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় ৩ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ৬ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ তুমার নন্দী।

আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হল- দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের ওয়াসিম রেজা, একই গ্রামের সোহেল রানা ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাটদাহ গ্রামের মানিক জোয়ার্দার। এদের মধ্যে ওয়াসিম রেজা ও মানিক জোয়ার্দার পলাতক রয়েছে। তাদের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

একই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হল- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের ইদ্রিস, একই উপজেলার মশান কেত্তপুর এলাকার খন্দকার তৈমুল ইসলাম বিপুল, শালিমপুর গ্রামের ফারুক চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস মতি মিয়ার রেলগেট এলাকার উল্লাস খন্দকার, একই উপজেলার উদিবাড়ি এলাকার মনির, কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকার বিপুল চৌধুরী ও দৌলতপুর উপজেলার পচা ভিটা গ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্লা। এদের প্রত্যেককে একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মামলার বাকি আসামি মনির, জসিম, সোহেল, ওয়াসিম, উল্লাস ও মানিককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মামলায় ৫ জনকে খালাস প্রদান করা হয়। আসামিরা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় নেতাকর্মী এবং আন্তঃজেলা অপহরণ, খুন ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য।