Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুনামগঞ্জ-সাচনাবাজার সড়কের করুণ হাল

মো. হাসান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২২, ১২:০৫ এএম

অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের যাগাযোগের একমাত্র ভরসা সড়কটিই বেহাল দশা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি সংস্কারের অভাবে এখন ভুক্তভোগীদের অভিশাপে পরিণত হয়েছে। সুনামগঞ্জ-সাচনাবাজার ১৮.৩০ কিলোমিটার সড়ক মধ্যে রাধানগর পয়েণ্ট থেকে সেলশপুর পয়েন্ট প্রর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার সড়ক বিগত কয়েক বছর সংস্কার না হওয়ায় এখন এলাকাবাসি, পথচারী ও যান চালকদের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চিকিৎসাসেবা গ্রহীতা গর্ভবতী মহিলা ও বয়োবৃদ্ধরা ওই সড়কের নাম শুনলেই এখন ভয় পান। সরেজমিনে সুনামগঞ্জ হতে জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কটিই গর্ত-খানাখন্দ বিপজ্জনক অবস্থায় সিএনজি, ইজিবাইক, লেগুনা, মোটরসাইকেল, রিকশা চলাচল করছে।
টুকঘাট গ্রামের সিএনজি চালক রফিক মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সড়ক ভাঙাচুরা হওয়াতে যাত্রী আগের মত গাড়িতে উঠতে চায় না। কারণ গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে কখন যে গাড়ি উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। আমি আমার পরিবার ভরণ-পোষণের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে গাড়ি চালাতে হয়। সড়কটি দ্রæত মেরামতের উদ্যোগ নিতে আমি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষসহ জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ভেরাজালি গ্রামের আব্বাস আলি বলেন, শুনতেছি ২ বছর ধরে সড়কটি সংস্কার হবে, কিন্তু আজ প্রর্যন্ত হয় নাই। এতে আমাদের যাতায়াতের দুর্ভোগের শেষ নেই। আমাদের দুর্ভোগ দেখার যেন এদেশে কেউ নেই। সড়কটি দ্রæত মেরামতের উদ্যোগ নিতে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া বলেন, পুরো সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জনস্বার্থে সড়কটি দ্রæত মেরামতের দাবি জানাই।
জামালগঞ্জ উপজেলার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সামীম হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সুনামগঞ্জ সুরমা নদীর ব্রিজের পশ্চিম পার রাধানগর পয়েন্ট থেকে সেলমশপুর পয়েন্ট প্রর্যন্ত প্রায় ১৮.৩০ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাভুক্ত। এর মধ্যে প্রায় ১৬ কিলোমিটার সড়কের কাজের টেন্ডার কার্যক্রম শেষে তাহের ব্রাদার্স নামে একটি টিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। টিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি দ্রæত কাজ শুরু করবে। কাজের গুণগতমান বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন নিশ্চিত শতভাগ ভাল হবে। এখানে আনিয়মের কোন সুযোগ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ