Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তৃণমূলে কর্মীরাই আওয়ামী লীগের শক্তি: বিএম মোজাম্মেল হক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২২, ৮:০৮ পিএম

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে ত্যাগী শক্তি ছিল তৃণমুল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে এই তৃণমূলে নেতা-কর্মী, কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ, ছাত্র, যুবক, নারী, পুরুষ হলো আওয়ামী লীগের শক্তি।

আজ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আজকের এই মার্চ মাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের মাস, এই মাসে উৎসব মুখর পরিবেশ তৃনমুলের কর্মীদের সমন্বয় সন্মেলন সফল হয়।

বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজকে মানবধিকারের কথা বলেন। ৭৫ সালের মানবধিকার কোথায় ছিল? বিএনপি আজ জনগন থেকে প্রত্যাখান হয়ে গেছে, সেই কারণে আবার ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। তারা (বিএনপি) এখন বিদেশী শক্তির কাছে নালিশ দিয়ে এদেশে আবার একটি ষড়যন্ত্রে অপচেষ্টা লিপ্ত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মানবধিকার লণ্ঠিত হয়েছে। ’৭৫ এর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল সেই বিচার হয়নি। আজকে শেখহাসিনার নেতৃেত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন মানবধিকারের কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করতে চায় স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিটি।

আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি শেখ হাসিনার উপর ১৯ বার হত্যা করার ষঢ়যন্ত্র করেছিল। ২০০৪ সালে খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় তখন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশকে পাকিস্তানী শক্তিতে কায়েম করার চেষ্টা করেছিল। বেগম খালেদা জিয়ার নিদের্শে তার পুত্র তারেক জিয়ার নেতৃত্বে শেখ হাসিনার সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ ১৩টি বোমা নিক্ষেপ করেছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার দুঃসাহস দেখিয়েছিল। তখন সংসদে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- উনি (শেখ হাসিনা) তো ম্যানিটি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গেছেন। ঠিক এমনি ভাবে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা থেকে শাস্তি এড়াবার ব্যবস্থা প্রদানের জন্য বাংলাদেশে “ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ” আইন করেছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ।

তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়না বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করতে গিয়েছেন। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষও আজকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে। শেখ হাসিনা যে ওয়াদা দিয়েছিলেন যে ২০২২ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পাবে। আজকে সফল হতে চলেছে।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো বিভেদ নয়, কোনো দ্বন্দ্ব নয়, আওয়ামী লীগ একটি খর-স্রোতা নদী, এটি কোনো বদ্ধ জলাশয় নয়। খর-স্রোতা নদীর মতো প্রতিযোগীতা থাকবে, তবে প্রতিহিংসা থাকবে না । আমরা কাজ করব, প্রতিযোগীতা করে সংগঠনকে শক্তশালী করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ