Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

উপজেলা হাসপাতালে রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান না

প্রফেসর ডা. রুহুল হক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২২, ১২:১০ এএম

হাসপাতালের ভর্তি রোগীরা প্রায় বেশিরভাগ ওষুধ বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। কিন্তু বহিঃবিভাগ রোগীদের জন্য ওষুধ বরাদ্দ খুব কম এ বিষয়ে পরির্বতন আনতে হবে। উপজেলা হাসপাতালে রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ঠিকমত ওষুধ পান না। ফলে তারা জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করেন। রোগীর চাপে টারশিয়ারি পর্যায়ের এসব হাসপাতালেও মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।

গতকাল রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পথরেখা’ শীর্ষক গবেষণা ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
গবেষণার পত্রে স্বাস্থ্যখাতের বিরাজমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এর সমাধানে ছয়টি সুপারিশ তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডা. রুহুল হক।
তিনি বলেন, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে অবকাঠামো গড়ে উঠেছে তা প্রশংসনীয়। তবে কিছু সমস্যার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। এক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার পরির্বনের মাধ্যমে সেখানেই ৬০ থেকে ৭০ ভাগ রোগীর মানসম্মত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। উপজেলা হাসপাতালের পদ থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ পদগুলো খালি থাকে। স্থানীয়ভাবে শুণ্য পদগুলোতে সাথে সাথে নিয়োগ দেয়া সম্ভব, অনেক দেশেই এই ব্যবস্থা আছে। আমাদের জন্য কোন ব্যবস্থাটি সঠিক তা নির্ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মহাসচিব প্রফেসর ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, ইমেরিটাস প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রাক্তন উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ডা. কাজী খলিকুজ্জামান, বিএমডিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মাহমুদ হাসান এবং বিএমএ’র প্রাক্তন সভাপতি ডা. সারোয়ার আলী।
বক্তারা বলেন, দেশের জনগণের জন্য সার্বজনীন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এবং একই সঙ্গে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার চিহ্নিত ত্রুটি সমূহ বিজ্ঞান সম্মত ও আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। পাশপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য পৃথক ক্যাডার সৃষ্টি করে প্রশাসন থেকে আলাদা করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ