বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এসেছে প্রচুর পরিমাণে মৃত মাছ। গত দুইদিন ধরে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে দরিয়া নগর পয়েন্ট পর্যন্ত যতদূর চোখ যায় দেখা গেছে শুধু মাছ আর মাছ। তবে মাছগুলো ছিল মৃত। গত শনিবার বিকেল থেকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে দরিয়া নগর পয়েন্ট পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মৃত মাছ ভেসে আসতে দেখে পর্যটক এবং স্থানীয়রা। এই মাছ দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় লাগে সমুদ্র সৈকতে।
স্থানীয়দের অনেকেই যার যার মত করে এই মাছ কুড়িয়ে বাসা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। দরিয়া নগরের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম মাঝিসহ অনেকে জানান, সমুদ্র সৈকতে অনেকগুলো মৃত মাছ ভেসে আসতে দেখেছি। জীবনের প্রথমবার এমন মাছের মৃত্যু মিছিল দেখলাম। এদিকে কেন এতগুলো মাছ একসাথে মৃত ভেসে উঠেছে এর কারণ এখনও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানাতে সক্ষম হয়নি। তবে এ নিয়ে স্থানীয় এবং পর্যটকদের মাঝে বিষ্ময়ও দেখা দিয়েছে। এর আগেও সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছিল কয়েকটি বিরল প্রজাতির তিমি এবং কয়েক হাজার টন বর্জ্য। যা পরিস্কার করতে প্রায় ১ মাস সময় লেগেছিল।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বিপ্লব বলেন, তদন্ত করে দেখা গেছে, এগুলো উপকূলীয় মাছ। গভীর সাগরের মাছ নয়। কোনো টানা জাল থেকে এই মাছগুলো ফেলে দিয়েছে অথবা টানা জাল ছিড়ে মাছগুলো সৈকতে ভেসে আসে। কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, কয়েকটি বোট থেকে সম্ভবত কোনো কারণে এই মাছগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে। পানি দূষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
প্রায় একই কথা বলেছেন, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বেলাল হায়দার বলেন, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পানি বিষাক্ততা বা দূষনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। হতে পারে টানা জালে অতিরিক্ত মাছ ধরা পড়ার কারণে জালছিড়ে মাছগুলো সৈকতে ভেসে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।