রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হাটশ্রীকোল গ্রামে কুমার নদের চরে রসুনের ক্ষেতে একা পেয়ে প্রথমে ধর্ষণ পরবর্তীতে রাজিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে। এরপরও মৃত্যু নিশ্চিত করতে রাজিয়ার গলায় ধারাল বেøড দিয়ে গলাকাটে ধর্ষক।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের হাটশ্রীকোল গ্রামের আলোচিত স্কুলশিক্ষার্থী রাজিয়া খাতুন হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার ও হত্যার লোমহর্ষক বর্ননায় সংবাদ ব্রিফিং এ এতথ্য জানান র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম. নাজিউর রহমান।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর থেকে র্যাব-৬ নজরদারী বৃদ্ধিসহ মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে। হত্যার ঘটনার পরের দিন গত শনিবার একই গ্রামের মো. হাসান শেখ (২৩) কে বারইপাড়া গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সে মো. ফজলু শেখের ছেলে। র্যাব জানায়, আসামি হাসান শেখ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বীকার করেছে। ধর্ষণের পর ধারলো বেøড দিয়ে গলা কাটে এই নরপিশাচ। ঘটনা ছিলো পরিকল্পিত। হত্যার ঘটনায় শ্রীপুর থানায় গত শনিবার একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা মিখিজ শেখ। এতে মো. হাসানকে প্রধান ও একমাত্র আসামি হিসাবে দেখানো হয়। আসামি হাসান শেখ পেশায় নসিমন চালক। সে নিহতের বাড়ির পাশের বাসিন্দা।
উপজেলার শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজিয়া খাতুনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বাড়ির পাশে কুমার নদের পারে এক বাঁশ ঝাড়ে। সেই সময় পুলিশ জানায়, তাকে কেউ খুন করেছে বলে প্রাথমিক ধারনা। তবে তখন এ হত্যার ঘটনায় কাউকে আটকের বিষয়ে জানায়নি মাগুরা জেলা পুলিশ। এরপর থেকে বিষয়টি র্যাবসহ পিবিআই, সিআইডি তদন্ত শুরু করে।
আসামি গ্রেফতার বিষয়ে নিহতের বড় ভাই রাজু শেখ শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যারয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধনে বলেন, তারা এ হত্যার সুষ্ঠ বিচার আশা করছেন।
এ দিকে স্কুলছাত্রী রাজিয়া হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে ঐ স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শ্রীকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটি বলেন, আমরা এই ঘটনার দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এরকম মর্মান্তিক ঘটনার পুনারাবৃত্তি তখনই হবে না যখন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।
ঐ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ বলেন, আমরা হতবাক হয়ে গেছি এই ঘটনায়। আমাদের বিদ্যালয়ে সে মাত্র ভর্তি হয়েছে। তার স্বপ্ন, পরিবারের স্বপ্ন সব চুরমার হয়ে গেছে। আমরা ফাঁসি চাই আসামির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।