Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে গুরুতর আহত সংগীতশিল্পী আলিফ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২২, ৫:৪৯ পিএম

দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি জটিলতায় ভুগছেন সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন। কিডনি জটিলতার কারণে আরও নানাধরনের সমস্যায় ভুগছেন এই শিল্পী। উন্নত চিকিৎসার জন্য গেল মাসে ভারতের চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। সেখানেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আলিফ আলাউদ্দীন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্বামী কাজী ফয়সাল আহমেদ।


শনিবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাতে তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ডায়ালাইসিস শেষ করে হাসপাতালের নিচেই গেটের সামনে অপেক্ষা করছিলাম ট্যাক্সির জন্য। আলিফ আমার পাশেই ছিল। হঠাৎ বিকট চিৎকার দিলো সে। আমি ঘুরে দেখলাম, আলিফ হাতের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই মুহূর্তে খেয়াল করলাম, তার সামনের স্টিলের গ্রিলে সে মাথায় আঘাত পাবে। আমি আমার হাত দিয়ে সেটা ঠেকাতে পারলাম ঠিকই, কিন্তু ও পড়ে গেল রেলিংয়ের চিকন গ্রিলের ওপর। চোখ ও কপালে আঘাত পেলো। এরপর থেকে ওর সেন্স নেই। আমার সামনে পড়ে আছে আর কাঁপছে। চোখ উপরের দিকে, মুখ বাঁকা হয়ে আছে, হাতের কনুইতে ব্যথা পেয়েছে। তখন কিছুক্ষণের জন্য আমার মনে হয়েছিলো, তার জান বের হয়ে গেছে শরীর থেকে। হাসপাতালের গার্ড চিৎকার করে স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করে নিয়ে যায় ইমার্জেন্সিতে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘সেন্স আসার পর সেই মুহূর্তে আলিফ কিছুই মনে করতে পারেনি কখন পড়েছে, কখন নিচে গেছে আমার সাথে! ডায়ালাইসিসের সময় ব্লাড থিনার দেওয়া হয়। তার জন্য ব্যথা পাওয়া জায়গাগুলোতে রক্ত এসে ফুলে গেছে। তারপর আলিফের তিন দিন কেটেছে আইসিইউতে। সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইইজি, ইকো ও ইসিজি টেস্ট করানো হয়েছে। বর্তমানে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখছেন। ইরোলজিস্ট, নিউরোলজিস্ট ও নেফ্রোলজিস্ট- সবাই একটা করে রিপোর্ট চেক করছেন আর জানাচ্ছেন পরবর্তী পদক্ষেপ। ডাক্তারদের পরিপূর্ণ চেষ্টায় আলিফ এখন সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই ভালো। তবে এখনও অনেক জটিলতা আছে। আগামী তিন মাস ওষুধ খেয়ে আবার সব টেস্ট করে ডাক্তারকে দেখাতে যেতে হবে।’

জানা গেছে, ১২ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন আলিফ আলাউদ্দীন। তার দুটি কিডনিই ৯০ ভাগ কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। আলিফ আলাউদ্দীনের কিডনি প্রতিস্থাপন করার সুপারিশ করেছেন বাংলাদেশের ডাক্তারা। বর্তমানে সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস, দুইটা করে ইঞ্জেকশন আর ওষুধ চলছে আলিফের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ