Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ধীরগতির সংস্কারে জনভোগান্তি

বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর-সিংগেরকাছ সড়ক

আব্দুস সালাম, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২২, ১২:১০ এএম

২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের সংস্কার কাজ। কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে বছর খানেক আগেই। ইতোপূর্বে ১৩ কিলোমিটার কাজের মধ্যে বিশ্বনাথ থেকে বাগিছাবাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার কাজ হয়েছে। বাকি সড়কটুকু কোথাও খুড়ে রাখা আবার কোথাও গর্ত করে রাখা হয়েছে। এসব গর্তে ঘটছে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা দুর্ঘটনা। তাছাড়া গর্তে পড়ে পরিবহন আটকে গিয়ে দিনের পর দিন বন্ধ থাকে জগন্নাথপুর, বিশ্বনাথ ও সিলেটের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রায় মাস খানেক আগে এক নারী ওই সড়কে আটকা পড়ে সিএনজি অটোরিকশায়ই সন্তান প্রসব হয়েছে। এ ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। জগন্নাথপুর থেকে জরুরি রোগী নিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল আসার একমাত্র সড়ক এটাই। কিন্তু মাত্র ১৩ কিলোমিটার সংস্কার কাজে আর কত ভোগান্তি পোহাতে হবে তা জানেন না দুই উপজেলাবাসী। আর রাস্তার ধুলু-বালিতে বাসা বাড়ি স্কুল কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থী, শিশুসহ যাত্রীরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সাব ঠিকাদারের মনগড়া কাজে তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এমনটাই বলছেন দুই উপজেলার জনসাধারণ। এর মধ্যে জনবহুল এ সড়কটি কয়েক বার বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে কয়েকগুন পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে জনসাধারণের। ঠিকাদারের মনগড়া ও অনিয়ম কাজের ব্যাপারে বিভিন্ন আন্দোলন, পরিবহণ ধর্মঘটসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ট কারো টনক নড়েনি। এমন ভোগান্তির ঘটনা বাংলাদেশের আর কোথাও ঘটছে বলে মনে করছেন না দুই উপজেলাবাসী। শুধু জগন্নাথপুর সড়ক নয়, বিশ্বনাথ-সিংগেরকাছ সড়ক, দশঘর মাছুখালি সড়ক, মাছুখালি হাবড়া বাজার হয়ে বিশ্বনাথসহ বেশ কয়েটি সড়কের এমন অবস্থা। ঠিকাদার বা সাব ঠিকাদার টেন্ডারে কাজ নিয়ে যদি এভাবে দীর্ঘদিন জনদুর্ভোগ পোহালে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাই জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজ শেষ হওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তবে, জুন মাসের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করতে হবে এমন আলটিমেটাম কাজের ঠিকাদারকে তিনি দিয়েছেন এমনটাই ইনকিলাবকে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ