রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঘৌলতলী এলাকায় মালবোঝাই ট্রাক নিয়ে ভেঙে পরেছে একটি বেইলিব্রিজ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের চালক ও হেল্পার। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ দিকে ব্রিজটি ভেঙে পরায় বর্তমানে মাওয়া-লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি আন্তঃসড়কের যানচলা বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে এই পথে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীরা।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানান, রাতে লৌহজং থেকে টঙ্গীবাড়ির অভিমুখে কাঠের মালামালবোঝাই একটি ট্রাক ঘৌলতলী বেইলিব্রিজটি অতিক্রম করছিলো। ট্রাকটি সেতুর মাঝামাঝি স্থানে পৌছালে বিকট শব্দে ট্রাকসহ ভঙে পড়ে ব্রিজটি। এ সময় চালকসহ ২ জন সামান্য আহত অবস্থায় ট্রাক থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। তবে দুর্ঘটনার সময় অন্যকোন যানবাহন বা পথচারী ব্রিজটিতে ছিলো না।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ আব্দুল আউয়াল ইনকিলাবকে জানান, গত শুক্রবার দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে গাঁওদিয়া ইউনিয়নের ঘোলতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বেইলিব্রিজটি একটি কাঠ বোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস ও লৌহজং থানা পুলিশসহ আমরা ওই ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করি। ওইখানে কোন লোক আটকা পারে নাই এবং মারা যায়নি বা অন্য কোন গাড়িও আটকা পরে নাই। গাড়ি চালকসহ দুইজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। দুর্ঘটনার কবলিত ট্রাকটি ওই স্থানেই রয়েছে। আমরা রোড এন্ড হাইওয়ের সাথে কথা বলছি তারা ব্রিজের ভাঙা অংশটি অপসারণ করে ফেলবে। কয়েক দিনের মধ্য নতুন করে বেইলি ব্রিজ বানানোর কাজ শুরু করে দিবে।
উলেখ্য, গত ৫ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব ৯-এর পাতায় লৌহজংয়ে বেইলিব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিলো যে, এই উপজেলার প্রধান সড়কে থাকা ছয়টি বেইলিব্রিজের সব কটিই জরাজীর্ণ। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণসহ ৫ টনের অতিরিক্ত বহন নিষিদ্ধ করে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। কিন্তু সা¤প্রতিতে ব্রিজটি দিয়ে ছয় চাকা সম্বলিত ট্রাকে আনুমানিক ২০ টন মালামাল নিয়ে পারাপার হচ্ছে এতে উপজেলার মানুষকে দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছে।
যে ব্রিজ দিয়ে মুন্সীগঞ্জের চার উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। প্রধান এই সড়কের এসব সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এছাড়াও ঢাকা না গিয়ে মাওয়া থেকে মুক্তারপুর ব্রিজ হয়ে নারায়ণগঞ্জ এবং পূর্ব ও দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াতে শর্টকাট রাস্তা হিসেবে কয়েক লাখ মানুষ আসা যাওয়া করে এ সড়ক পথ দিয়ে। এতে যেকোনো সময় এই বেইলিব্রিজে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। ওই সংবাদ প্রকাশের আজ ১৪ দিনের মাথায় ব্রিজটি ভেঙে পড়লো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।