বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719295433](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের একমাত্র আবাসিক হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যা সমাধান ও দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের কাজ শেষ না করার প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো, ডাইনিংয়ে ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু, প্রতিরুমে অনধিক চারজনের সীট বরাদ্দ, অবিলম্বে নতুন হল চালু, ইন্টারনেটের স্পীড বাড়ানো ও পানির সমস্যা সমাধান করা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিনদিন ধরে হলে বিদ্যুৎ ও পানি না থাকলেও প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাছাড়া, হলে ওয়াইফাইয়ের ধীরগতি, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের কাজ কাজ শেষ না করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন তারা।
শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী ও পদার্থ বিজ্ঞান ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী অপর্ণা নাথ বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে এসব সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করতে চেয়েও কোন সাড়া পাইনি। বিদ্যুৎ প্রকৌশলীকে ফোন দিলে তিনি 'চাকরি গেলে যাক' বলে কল কেটে দেন।
নতুন শিক্ষাবর্ষে আসা শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারছেনা, অথচ গত ৫/৬ বছর ধরে নতুন হলের নির্মাণকাজ চলছে, প্রশাসনের এদিকেও কোন ভ্রুক্ষেপ নাই, যোগ করেন অপর্ণা নাথ।
এদিকে বিদ্যুতের অভিযোগ জানানোয় শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাকির হোসেনে খারাপ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা। তাদের সাথে খারাপ আচরণ করায় আন্দোলনের এক পর্যায়ে তার পদত্যাগ দাবি করেন তারা। পরে জাকির হোসেন আন্দোলনস্থলে এসে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে শিক্ষার্থীরা রোববারের মধ্যে পাঁচ দফা দাবি পূরণের পদক্ষেপ ও উপাচার্যের সাথে বসার আশ্বাসে প্রায় তিন ঘন্টার আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের লাইনে সমস্যা হওয়ায় ঠিক করার পরও আবার নতুন সমস্যা তৈরি হয়।
সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা শুরু হওয়ার পরই আমরা বিভিন্ন জায়গা পরীক্ষা করে ঠিক করেছি। কিন্তু গেটের (প্রধান ফটক) কাজ করায় মাটির নিচের লাইনে সমস্যা হয়েছে। আমরা সেটাও ঠিক করেছি। কিন্তু ততক্ষণে তারা (শিক্ষার্থীরা) আন্দোলনে নেমে গেছে।
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের প্রাধ্যক্ষ সাদেকুজ্জামান তনু বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই আমি বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমি আমার দায়িত্ব সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সাথে রবিবার বসে তাদের সকল দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করবেন উপাচার্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।