প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বছরখানেক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘সাইকোপ্যাথ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাশিয়ান মডেল গ্রেটা ভেদলার। এরপর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত বছরের জানুয়ারিতে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। বছরখানেক পর সম্প্রতি সেই মডেলের মরদেহ মিলেছে দুমড়েমুচড়ে রাখা একটি স্যুটকেসে। তার এই মরদেহ মেলার পর থেকেই কথা উঠেছে কিভাবে খুন হলেন তিনি? এ ছাড়া পুতিনকে ঘিরে আরও নানা প্রশ্ন উঠছে।
তবে রাশিয়ান পুলিশ দাবি করছে পুতিন বিরোধী কোনো কাণ্ডে নয় বরং মডেল গ্রেটার প্রাক্তন প্রেমিক দিমিত্রি কোরোভিনই তাকে খুন করেছেন। এ কথা নাকি আবার পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছেন ওই প্রেমিক!
গ্রেটার প্রাক্তন প্রেমিক দিমিত্রি গ্রেপ্তার হবার পর পুলিশের কাছে বলেন, ‘গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূলত অর্থ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়, এমনকি তা হাতাহাতিতে পৌঁছায়। এরপরই তাকে পরিকল্পনা করে খুন করেন। এই খুনের পেছনে গ্রেটার রাজনৈতিক বা পুতিন-বিরোধী কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পর্ক নেই।’
জানা গেছে, গ্রেটা নিখোঁজ হলেও গত এক বছর ধরে নেটমাধ্যমে তার বহু পোস্ট দেখা গেছে। তদন্তকারীদের দাবি, দিমিত্রিই ওই পোস্টগুলো করতেন। যাতে সকলে মনে করেন, তিনি জীবিত আছেন। এ কথাও স্বীকার করেছেন দিমিত্রি।
তবে গ্রেটার নানা পোস্ট ভেসে উঠতে থাকলেও সন্দেহ জাগে ইউজেনি ফস্টার নামে তার এক বন্ধুর। ইউক্রেনের যুদ্ধে যে খারকিভ শহর প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, সেখানকার বাসিন্দা ইউজেনি পুলিশের কাছে গ্রেটার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন। মস্কোর এক বন্ধুর সাহায্যে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। খারকিভের ওই ব্লগারের অভিযোগের ভিত্তিতে দিমিত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়ান পুলিশ। রাশিয়ান তদন্তকারী কমিটির এক ভিডিওতে দেখা গেছে, নিজের অপরাধ স্বীকার করছেন দিমিত্রি। কীভাবে তিনি গ্রেটাকে খুন করলেন, তাও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গ্রেটা মডেলিংয়ের পাশপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মুখ্যজবাব দিতেন। এমনকি দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোন কর্মকাণ্ড পছন্দ না হলে তিনি তা নিয়ে যোগাযোগমাধ্যম গুলোতে নিয়মিত পোস্ট দিতেন। তাই গ্রেটার মৃত্যুর এমন খবরে তার ভক্তরা সামাজিক মাধ্যম গুলোতে সরব য়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন আদৌ কি গ্রেটাকে তার সাবেক প্রেমিক খুন করেছে? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।