পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কচা নদীর তীরে পিরোজপুর সদর উপজেলা। এই উপজেলায় দিনদিন বড় হচ্ছে শুটকি তৈরির এলাকা। বছরে শুটকির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও শুটকি তৈরির সাথে সংশ্লিষ্টদের নেই কোনো স্থায়ী পল্লী। সরকারি যদি এগিয়ে আসে তাহলে শুটকি পল্লীর তৈরি শুটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুটকি পল্লীর অবস্থান পিরোজপুর সদর উপজেলার শঙ্করপাশা ইউনিয়নের চিথলিয়া এলাকায়। ছোট পরিসরে হলেও গড়ে উঠেছে একটি শুটকি পল্লী। এখানকার শুটকি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হলে শুটকি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে মৎস্যজীবীদের আয়ও বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা সদরের পূর্ব পাশে কচা নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পাড়েরহাট বন্দর। বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে বিক্রির জন্য জেলেরা ছুটে আসেন এই বন্দরে। এর পাশেই জেলেদের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে উঠেছে শুটকি পল্লী।
জানা গেছে, ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে চলে আসছে সাধারণত ছুড়ি, কোরাল, হাইতা, মর্মা, চিতল, ঢেলা, মধু ফ্যাপসা, চাপিলা, লইট্যাসহ ৩০/৩৫ প্রজাতির মাছকে শুটকি করার প্রতিযোগিতা। শীত মৌসুমে এসব প্রজাতির মাছ বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ে বেশি। কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত শুটকি কার্যক্রম বেশি চলে। শীত থাকলেই শুটকির মান ভাল থাকে। বেশি গরম পড়লে শুটকির মান নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে গরমে কেউ শুটকি করেন না।
বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শুটকি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। মাছ ভেদে প্রতিকেজি শুটকি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। ক্যামিকেল ছাড়াই শুটকি তৈরি করে বিক্রির জন্য কাজ করছে শুটকি পল্লীর শ্রমিকরা। প্রতিটি মাছ কেটে ঝুলিয়ে রাখার পর শুটকি হতে কমপক্ষে পাঁচ দিন সময় লাগে।
ছুরি মাছ শুকাতে ১০ দিন সময় লাগে। কোরালসহ বড় মাছ ১৫ দিন সময় নেয় শুকাতে। শুটকি হওয়ার পরই বস্তায় করে পাঠানো হয় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পিরোজপুরের শুটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের বাজারেও যাচ্ছে।
শুটকি উৎপাদনকারী আব্দুল লতিফ সরকার জানান, পারেরহাট মৎস্য বন্দরের আড়ত থেকে মাছ কেনার পর শুটকি পল্লীতে শুকানোর কাজ করি। মাছ কেটে পরিষ্কার করার পর লবণ দিয়ে জীবাণুমুক্ত অবস্থায় শুকিয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সওদাগর আকিছুর ব্যাপারী জানান, তিনি আট বছর ধরে শুটকি ব্যবসার সাথে জড়িত। এখানকার শুটকি নিয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ মন মাছ সারাদেশের সরবরাহ করে এই মৎস্য পল্লী।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী ইনকিলাবকে জানান, জেলার সদর উপজেলার শঙ্করপাশায় ৫/৬টি বেডে শুটকি তৈরি করা হয়। এখানে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে শুটকি তৈরি করা হয়। সামান্য লবণ ব্যবহার করেই এখানকার তৈরি শুটকি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাহিদা পূরণ করে চলেছে। তিনি বলেন, একটি প্রোজেক্ট গ্রহণের মাধ্যমে তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দেয়া হলে আরো ভালো শুটকি তৈরিতে তারা অবদান রাখতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।