বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচির সময়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের (রানা-মাহবুব) অংশের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত তিনি ক্লাস নেন। যদিও একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বঘোষিত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদিন সকাল ১১ টায় অনলাইন ক্লাস শুরু হয়ে প্রায় বেলা ১২ টা পর্যন্ত ক্লাস নেন। এরপর হঠাৎ লিংক বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে বেলা ১১ টায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যালি শুরু হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। বিভাগটির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইনভেস্টমেন্ট এনালাইসিস-৪১৩ কোর্সটি নিচ্ছেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে এ ব্যাচের ৭ম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে কোর্স শেষ করতেই তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের র্যালির সময়ে ক্লাস নিয়েছেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৭ম সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হওয়ার অনেক পরে এ কোর্সের ক্লাস শুরু করেন তিনি। তবে এখনও ইনকোর্স শুরু করতে পারেন নি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির সময়ে কেউ ক্লাস নিতে পারেন না। র্যালী এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার সময় ক্লাস নেওয়াটা খুবই নিন্দনীয় এবং আপত্তিকর ঘটনা। আমাদের জন্য এটা লজ্জাজনক। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের (কাজী ওমর-মাহবুব) অংশের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, দেখেন আমি অসুস্থ। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী এটা আমার মনে ছিল না। শিক্ষার্থীদের একটা সাজেশন দেয়ার জন্য ৫ মিনিটের মত ক্লাসের জুম লিংক চালু করেছিলাম। কিন্তু যখন মনে পড়ার সাথে সাথে আমি লিংক অফ করে দেই।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে আমার আপাতত কোন মন্তব্য নেই। আমি ওই শিক্ষকের সাথে কথা বলে বিষয়টি জেনে নেই৷ তারপর মন্তব্য করতে পারব।
জন্মবার্ষিকী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত কর্মসূচি থাকা সত্বেও কেউ ক্লাস নিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, এমন একটি দিনে কেউ ক্লাস নিতে পারেন না। অভিযোগের বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। আমি দ্রুতই খোজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।