Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুবাহর আরও এক গোপন বিয়ের তথ্য দিলেন ইলিয়াস

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২২, ১১:২৩ এএম

গোপনে বিয়ে, অতঃপর প্রকাশ্যে কাদা-ছোড়াছুড়ি করে আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন ও মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা। গত বছরের ১ ডিসেম্বর তারা ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন। কয়েক দিন পর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন। কিন্তু সুখবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে উন্মোচিত হয় নানান বিতর্ক।

বিয়ের এক মাসের মাথায় ইলিয়াস-সুবাহর দাম্পত্যে ফাটল ধরে। ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিসহ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন সুবহা। অন্যদিকে ইলিয়াসও সুবহার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। আপাতত দুজনই আদালতে লড়ছেন। সেখানেই তাদের সব অভিযোগের সমাধান মিলবে।

চলমান এই দ্বন্দ্বের মাঝেই সামনে এসেছে নতুন খবর। ইলিয়াসের আগে আরও একটি বিয়ে করেছিলেন সুবাহ! তার বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তার স্বামী ইলিয়াস হোসেন। ২০১৭ সালে গাইবান্ধা থানায় সুবাহর করা একটি অভিযোগপত্রের সূত্র ধরে এই বিয়ের খবর উঠে আসে। সেখানে পর্নোগ্রাফি আইনে অভিযোগ করেন সুবাহ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াসের নামে যে মামলা করা হয়েছে, একইভাবে ২০১৭ সালে মো. নোমান সরকার, মো. মাহফুজার রহমান লিখন, মো. আল ইমরানের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন সুবাহ। সেই মামলার কপি দেখিয়ে সুবাহর বিবরণী তুলে ধরেন ইলিয়াস। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাকে (সুবাহ) ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক করে তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখা হয় এবং পরে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। সেখানে সাক্ষী হিসেবে সুবাহর স্বামীর নাম লেখা ছিল মো. ইয়াসির আরাফাত।

সুবাহর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে ইলিয়াস বলেন, এর আগেও সুবাহর একটি বিয়ে হয়েছিল। এরপরেও আমাকে বিয়ের সময় কাবিননামায় সুবাহ নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। পুরনোর মামলার নথির বরাত দিয়ে ইলিয়াস বলেন, ওই মামলায় সুবাহ নিজেই উল্লেখ করেছেন সে বিবাহিত। এখন সুবাহ যদি বলে সে ওই সময় বিবাহিত ছিল না, তাহলে সে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার ওই মামলাটি ছিল ভুয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা। আর যদি বলে বিয়ে করছে, তাহলে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে কুমারী উল্লেখ করে। সেটার জন্য একটা প্রতারণা মামলা হবে।

সুবাহর দেনমোহরের বিষয়ে ইলিয়াসের ভাষ্য, দেনমোহর দুইবার দিয়েছি। আবার দিতাম, টাকাই যেহেতু তার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু সেটা দেওয়ার মতো জায়গা সে (সুবাহ) রাখে নাই। আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা কথা ছড়িয়েছে। তার ধারণা, আমি হয়তো তার কাছে ফিরে যাব। সে গতকালকেও আমাকে তার কাছে ফেরার জন্য মেসেজ দিয়েছে।

তবে সুবহা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, এই নথি যিনি রেকর্ড করেছেন তিনিই ভুল করেছেন। এই নথির সঙ্গে ইলিয়াস নিজের মিল খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে বুধবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় সুবাহর নামে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছেন ইলিয়াস। সেখানে এই গায়ক বলেন, এর আগেও সুবাহর একটি বিয়ে হয়েছিল। এর পরেও আমাকে বিয়ের সময় কাবিননামায় সুবাহ নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ