বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নতুন প্রক্টর পদে কে আসছেন এমন গুঞ্জনে সরব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ন্য‚নতম সহযোগী অধ্যাপক থেকে প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। তবে প্রক্টর পদে আলোচনায় থাকা শীর্ষ দুই শিক্ষকের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন এক সহকারী অধ্যাপকও।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৯৪ জন শিক্ষকের মধ্যে বতর্মানে ২০ জন অধ্যাপক ও ৭২ জন সহযোগী অধ্যাপক রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পদ প্রত্যাশী শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রশিদুল ইসলাম শেখ। তিনি ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০২০ সালের শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. এ এইচ এম জেহাদুল করিম সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রভাষক থেকে সহকারী প্রক্টর পদে মনোনয়ন দেন রশিদুল ইসলাম শেখকে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১০ মে ৪র্থ প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে ২মার্চ ২০১১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
অন্যদিকে, প্রক্টর পদের আলোচনায় থাকা আরেকজন শিক্ষক হলেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা। তিনি কুবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের ২০১৮ ও ২০১৯ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদ দু’ভাগ হয়ে গেলে তখন তিনি একাংশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একবছর বিরতি দিয়ে ২০২২ সালেও তিনি ওই অংশের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। এছাড়া ২০১৫ সালে শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল হোসেন মজুমদার শিক্ষা ছুটিতে চলে যাওয়ায় দুই মাস ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০১৯ সালে প‚র্ণ মেয়াদে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ (সংশোধিত) এর ১৫ অনুচ্ছেদের ১ নং ধারায় বলা হয়েছে, ভাইস-চ্যান্সেলরের সুপারিশক্রমে, শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ন্য‚নতম সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষকগণের মধ্য হইতে সিন্ডিকেট কর্তৃক দুই বৎসরের জন্য একজন প্রক্টর এবং প্রয়োজনে, সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষকগণের মধ্য হইতে এক বা একাধিক সহকারী প্রক্টর নিযুক্ত হইবেন।
তবে বিতর্ক ওঠেছে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক থাকার পরও সহকারী থেকে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে। প্রক্টর পদে আলোচনায় রয়েছেন এমন এক শিক্ষক মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের বহল রেখেই প্রক্টর পদে নিয়োগ হওয়া দরকার।
এই বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রক্টর পদে আলোচনায় থাকা অধ্যাপক ড. মো: রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, “প্রক্টর পদে ভারপ্রাপ্ত আসার দিন শেষ হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ জন অধ্যাপক ও ৭২ জন সহযোগী অধ্যাপক রয়েছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে প‚র্ণ প্রক্টর পদ বহন করতে সক্ষম।”
প্রক্টর পদে আলোচনায় থাকা ব্যাবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা বলেন, “এটি প্রশানের বিষয়। এই নিয়ে আমি কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি নই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, প্রক্টর পদের বিষয়ে প‚র্ণাঙ্গ কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রক্টর পদটি একটি বিশ্বস্ততার পদ। আমি আরো কিছু দিন দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।
অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক থাকার পরও প‚র্ণকালীন প্রক্টর না দিয়ে সহকারী অধ্যাপক থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নিয়োগ দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের বিষয়টি আমলে রেখে প‚র্ণকালীন বা ভারপ্রাপ্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তখন সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এমন কি অধ্যাপক থেকেও কেউ নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে সেই সময়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনকে দুই বছরের জন্য ১০ম প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ১০ জুন সংশ্লিষ্ট পদে মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন প্রক্টর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর পদ থেকে ১১ তম প্রক্টর পদে বহাল করা হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত করে চিঠি দিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।