পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাথাপিছু আয় ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার জনগণের সাথে মস্করা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, চাল-ডাল-তেল-লবণ-চিনি-এ জিনিসগুলো দাম কোথাও এক‘শ ভাগ, কোথাও তিন‘শ ভাগ বেড়ে গেছে। গোটা দেশে একটা নিরব দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। আর এই সরকারের মন্ত্রী সাহেবরা বলছেন মানুষের আয় বেড়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে গেছে। কথাটা ঠিক না। এক হাজার কোটি টাকা আয় যার মাসে, আর ১৫ হাজার টাকা আয় যার মাসে- এটা কি সমান হলো? সরকার জনগণের সঙ্গে রসিকতা করছে। মস্করা করে বলছে, জনগণের আয় বাড়ছে, জনগন ভালো আছে। এভাবে মাথাপিছু আয়ের এই শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে আপনারা (সরকার) আর কতদিন চলবেন? গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা, রিকশা চালকরা যে পরটা-ভাজি খান তার দামও বেড়ে গেছে। আগে যে পরটা ছিলো ৫ টাকা, সেই পরটার দাম ১০ টাকা, যে ভাজির দাম ছিলো ৫ টাকা সেটা হয়েছে ১০ টাকা। কিন্তু আয় কিন্তু বাড়েনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে এই দেশকে তারা দুর্ভিক্ষে ফেলেছে। ৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আজকেও একই অবস্থা। পত্রিকায় দেখলাম, মা তার সন্তানকে খেতে দিতে না পারার জন্য সন্তানের মুখে বিষ তুলে দিয়ে নিজে আত্মহত্যা করছে, গলায় ফাঁসি দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনগুলো ধবংস করেছে, বেঁচে থাকার অধিকার, ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাদেরকে পুরোপুরিভাবে ক্রীতদাসে পরিণত করবার জন্য সমস্ত কাজ তারা করে চলেছে।
নির্বাচন কমিশন আলোচনার নামে নতুন নাটক শুরু করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা এখন বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ৩০ জনকে জানিয়েছিলো আমন্ত্রণ এসেছেন মাত্র ১২ জন। সেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক তিনি বলছেন যে, এই তামাশাগুলো কেনো করছেন? কারণ এই নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু অবাধ হবে না যদি সেখানে নিরপেক্ষ সরকার না থাকে নির্বাচনকালীন সময়ে। এটা আমার কথা নয়, এটা একজন শিক্ষকদের কথা, শিক্ষাবিদের কথা। তারা খুব ভালো করেই জানেন, যেকোনো চিন্তাশীল মানুষ যারা দেশকে ভালোবাসেন তারা জানেন যে, এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে যে, একটা জনগণের সরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের সরকার করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটা নিরপেক্ষ সরকার করতে হবে। আর নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না।
তিনি বলেন, আমরা যেমন চাল-ডাল নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি, হাটে-বাজারের সর্বত্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ঠিক তেমনিভাবে আমাদের ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, তার সুচিকিৎসার জন্য, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবার জন্য, আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য, আমাদের কারাগারে বন্দি নেতাদের মুক্ত করবার জন্য আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
সংগঠনের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, উলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, কৃষক দলের শাহজাহান সম্রাট, মহিলা দলের পারভীন আখতার, তাঁতী দলের মজিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।