পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সময় থেকেই বিশ্ববাজারে চলছে তেলের সঙ্কট। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনেকটা আগুনে ঘি ঢালার মতোই বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হবে এয়ারলাইনস খাত। এতে সৃষ্টি হয়েছে লোকসানের আশঙ্কা। বৈশ্বিক এই মহামারির কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের বিমান কোম্পানিগুলোও। দেশের সরকারি-বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো বলছে, আর্থিক সঙ্কটে কোন রকমে টিকে আছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন অবস্থায় এয়ারলাইন্স ও এভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানী ও সারচার্জ কমানোসহ নীতি সহযোগিতা নিয়ে সরকার এগিয়ে এলে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে আকাশ পরিবহন খাত।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) আগের পূর্বাভাস বলছে, উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলার লোকসান গুনতে পারে। তখন উড়োজাহাজ জ্বালানির দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৮ ডলার। স¤প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানি বাজারে আরো অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম ১৪০ ডলারে ঠেলে দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান এ দাম মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলোর পুনরুদ্ধার ব্যাহত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আইএটিএ’র সাধারণ পরিচালক উইলি ওয়ালশ এক বিবৃতিতে জানান, কভিড-১৯ মহামারীতে বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনেছিল উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো। মহমারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠে সবেমাত্র অর্থনীতি পুনরুদ্ধার শুরু করেছিল উড়োজাহাজ পরিবহন খাত। তবে জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী দামের ফলে তা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য।
এদিকে বিভিন্ন দেশের পর্যটনখাতগুলো এখনো পুরোপুরি খুলে না দেয়ায়, বিমানগুলোতে যাত্রীসংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। আগের বছর একই সময়ের তুলনায় আকাশ ভ্রমণের চাহিদা ৮২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি হলেও গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় তা ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কম ছিল।
উইলি ওয়ালশ বলেন, ওমিক্রনের প্রকোপের ফলে উড়োজাহাজ পরিবহন খাত ব্যাহত হলেও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। মহামারীর কারণে সীমান্তে বিধিনিষেধ আরোপ হলেও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তার ভ‚মিকা সামান্য ছিল। বিভিন্ন দেশের সরকার এখন নতুন নীতি প্রণয়ন করছে। ভ্রমণ বিধিনিষেধের ফলে তা মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছিল। বর্তমানে এ বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে।
জানুয়ারিতে গত বছর একই সময়ের তুলনায় মধ্যপ্রাচ্যের উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলোর চাহিদা বেড়েছে ১৪৫ শতাংশ। উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর সক্ষমতাও একই সময়ের তুলনায় ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু যুদ্ধের পরিস্থিতি আর জ্বালানি তেলের দামের ওপরে নির্ভর করছে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে সেটি।
দেশের আকাশ পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক রুট বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। টিকে থাকার জন্য করোনাকালীন আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে আমাদের ব্যয় কমিয়েছি, কিছু আয়ের উৎস ছিলো। এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনাকালে নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে যাত্রী ও কার্গো পরিবহন করা হয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নিয়মিভাবে চালু করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও কিছু চালু করা হয়েছে। আরও কিছু চালুর প্রক্রিয়া চলছে।
বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলোর সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্যিক সংগঠন আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আইএটিএ বলছে, আগামী এক বছরের মধ্যে যাত্রী সংকট অনেকটাই কমে যাবে এয়ারলাইন্সগুলোর। বাড়বে ব্যবসা ও লাভের পরিমাণ।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, করোনার পর বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে এয়ারলাইন্স খাত। তবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হবে এ খাত। এমনকি সৃষ্টি হয়েছে লোকসানেরও আশঙ্কা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।