Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ

শাহ নেওয়াজ, রাঙাবালী (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০৬ এএম

বিশাল খালের পয়েন্টে পয়েন্টে বাঁধ। মাছ চাষের জন্য কেউ করছেন পুকুর। আবার কেউ করছেন ঘের। বাঁধের কারণে বন্ধ হচ্ছে পানি প্রবাহ। মরে যাচ্ছে খাল। পানি সঙ্কটে পড়েছেন কৃষক। ব্যাহত হচ্ছে রবি শস্য চাষাবাদ। পটুয়াখালীর উপক‚লীয় রাঙাবালী উপজেলার চরাঞ্চল ঘুরে এমন চিত্র দেখাগেছে।
উপজেলার জুগিরহাওলা, মাদারবুনিয়া ও দক্ষিণ কাজির হাওলা এলাকার সরকারি খালগুলো বছরের পর বছর এভাবেই বেদখল হয়ে আছে। খাল উদ্ধারে দাবি জানিয়ে স্থানীয় কৃষকরা মানববন্ধন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের পক্ষথেকে নেয়া হচ্ছে না কোন ধরণের পদক্ষেপ।
এদিকে নদী-খাল মরে যাওয়ায় দেশিয় প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পরছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষি ও মৎস্যবিদদের মতে দ্রæত সময়ের মধ্যে সরকারি খালগুলো রক্ষা করা না গেলে যেমন ক্ষতি হবে কৃষির, তেমনই উৎপাদন কমবে দেশি প্রজাতির মাছের।
জুগির হাওলা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই গাজী জানান, প্রথমদিকে বড় বড় খালগুলো প্রভাবশালীরা দখল করে মাছের ঘের করেছে। পরে যার যার বাড়ির সামনের অংশটুকু বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়েছে। খালগুলো দখলের ফলে বর্ষার সময়ে ফসলী জমিতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর বর্তমান রবি মওসুমে খাল শুকিয়ে পানি সঙ্কট দেখা দেয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে তরমুজ ও রবিশষ্য চাষিরা। তরমুজ ক্ষেতে পানি দিতে না পেরে হাজার হাজার টাকার ফল নষ্ট হয়ে গেছে তার। পানি সঙ্কটে চরম বিপাকে পরেছেন তার মতো অনেক তরমুজ চাষি।
রাঙাবালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন জানান, একটি খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ থাকায় পানি প্রবাহ কমে খালগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম। খালে পানি না থাকায় এলাকার হাজার হাজার কৃষক ভোগান্তিতে পরেছে। বর্তমান সময়ে পানি সঙ্কটে তরমুজ ক্ষেতের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে। কোন কোন চাষি লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হবে। খাল উদ্ধারে অতিদ্রæত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। আর এই খাল যদি আমরা হারিয়ে ফেলি তাহলে কৃষি থেকে মানুষ দূরে সরে যাবে। দেশের কৃষি সম্পদের জন্য যেটা হুমকির বিষয়।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম জানান, লোকাল জনপ্রতিনিধিদের হেল্প নিয়ে খাল দখল করে স্থাপনা তৈরি করে থাকেন অনেকে। যার ফলে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করাটা অনেকটা কঠিন হয়ে দাড়ায়। এ কারণে আমরা মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে থাকি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে খালগুলো দখল মুক্ত করতে অভিযান চালানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ