Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোবট তৈরির উৎসবে মেতেছে কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২২, ৭:২২ পিএম | আপডেট : ৯:০২ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২২

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা বিকাশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রোবট তৈরির উৎসবে মেতেছে কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্ভাবক ও গবেষক তৈরির এ উদ্যোগ নিয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে জেলার ১৭ উপজেলায় গড়ে উঠেছে রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাব। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের অর্থায়নে কুমিল্লা নগরীর ২৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ৭২৫ জন শিক্ষার্থী ও ৩৯ জন শিক্ষক বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) কর্মশালায় বিভিন্ন ধাপে অংশ নিয়েছেন। প্রশিক্ষিত জ্ঞান দিয়ে এরিমধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছে রোবট।

এছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলায় একটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে প্রিন্ট করা হচ্ছে রোবটের থ্রিডি যন্ত্রাংশ। এ ল্যাব থেকে শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রথম রোবটটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারে থাকবে। এটি সেবা প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দেবে।

সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় এগিয়ে নিতে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে জেলার ১৭ উপজেলায় বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ, বিতর্ক, বিজ্ঞান প্রকল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন জেলা প্রশাসন। এর আলোকে জেলা প্রশাসক কুমিল্লায় রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। ওই ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রথমে তিনদিনের কর্মশালায় অংশ নেন। পরে তাদের অর্জিত জ্ঞানের ওপর একটি পরীক্ষাও নেওয়া হয়। এতে ১২০জন শিক্ষার্থীকে মনোনীত করে তিনটি গ্রুপে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।জেলার প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং কমিটি। তারা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। আর এভাবেই জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং উৎসব।

কুমিল্লা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ আল রামিম জানায়, জিলা স্কুলের বিজ্ঞান ক্লাবের পক্ষ থেকে আমরাই বাংলাদেশে স্কুল পর্যায়ে প্রথম মানব সদৃশ রোবট তৈরি করেছি। রোবটটির নাম দিয়েছি হাইডার। মানুষের বিভিন্ন ধরণের অঙ্গভঙ্গি কপি করাসহ বিভিন্ন কাজ করা যাবে। এছাড়াও নেট থেকে যে কোনো তথ্য সংগ্রহ করে মানুষকে সরবরাহ করবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় উৎসাহিত এবং প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিতি করতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। এতে এ শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশকে প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা রোবটিক্স, প্রোগ্রামিং এবং সফটওয়ার তৈরির মাধ্যমে যেমনি আর্থিক সচ্ছলতা আনতে পারবো তেমনি তা রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ