দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুদ্ধ দুয়ার খুলেছে। প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরে উঠেছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্যতিক্রম নয় সিলেটও। আজ থেকে শুরু হলো পুরোদমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে মুখর থাকবে স্কুল-কলেজ প্রাঙ্গণ। শুধু তাই নয়, টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক-প্রাথমিকেও আজ থেকে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে শিশু বরণ উৎসব। দীর্ঘদিন পর সাক্ষাত ঘটছে সহপাঠিদের সাথে। কুশল বিনিময় সহ গল্প গুজবে এক প্রত্যাশিত মুর্হুতে একাকার হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, নতুন উদ্যামে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করছেন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে । এসময় তাদের মধ্যে ছিল খুশির ঝিলিক। সকালে নগরীর সরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শরীরের তাপমাত্রা মাপার পর শিশু শিক্ষার্থীদের ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। এরপর শিক্ষার্থীরা হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজ করে ক্লাসে প্রবেশ করছেন। এর আগে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আগেই অনেকে স্কুলের ফটকের সামনে এসে জড়ো ছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করিয়ে বাইরে অনেকক্ষণ জড়ো ছিলেন অভিভাবকরা। প্রথমবার সশরীরে ক্লাসে এসে উচ্ছ্বসিত এসব কোমলপ্রাণ। পুরোদমে ক্লাস শুরুর ঘোষণায় তাদের চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক। পাঠদান শুরুর আগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত হয় উৎসাহ ও আনন্দমূলক অনুষ্ঠান। স্কুলের এক শিক্ষক জানান. শিক্ষার্থীরা সামাজিক দুরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবে। ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে এসে খুবই খুশি। তাদেরকে ফুল চকলেট দিয়ে বরণ করা হয়েছে। তবে ক্লাস চালু হলেও এখনই প্রতিদিন ক্লাসে আসবে না প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিশুরা। সপ্তাহে দুই দিন (রোববার ও মঙ্গলবার) ক্লাসে অংশ নেবে তারা।