পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রচলিত ও মৌলিক আইনগুলো ইংরেজী থেকে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করে নির্ভরযোগ্য পাঠ (অথেনটিক টেক্সট) সর্বসাধারণের পাঠ-উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মো: ইকবাল কবীরের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গতকাল সোমবার এ তথ্য জানান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের ১০ আইনজীবীর করা এক রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত তার আদেশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাংলা একাডেমি, আইন কমিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন অনুষদ ও বাংলা বিভাগ সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কতদিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে-এ বিষয়ে আদালত কিছু বলেননি। একইসঙ্গে দেশের সব আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য মৌলিক আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ এই মর্মে রুলজারি করেছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে (ডিজি) এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে দেশের প্রচলিত আইন বাংলায় রূপান্তর করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে গত ১৭ ফেব্রæয়ারি আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ১০ আইনজীবী। নোটিশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে (ডিজি) বিবাদী করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, আদালতের সব ধরনের কার্যাবলি আইনের আলোকে পরিচালিত হয়। আদালতে ফৌজদারি এবং দেয়ানি মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এসব আইনের গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। এ আইনগুলোর বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ ব্যতীত আদালতের সর্বস্তরের বাংলা ভাষা ব্যবহারের আইনি বিধান সম্পূর্ণ অর্থহীন এবং অযৌক্তিক। এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। সর্বস্তরে বিশেষত আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠপ্রকাশ অত্যাবশ্যক বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
বলা হয়, বর্তমানে দেশের নিম্ন আদালতে বেশিরভাগ রায় ও আদেশ হয় বাংলায়। এখন উচ্চ আদালতেও বাংলায় রায় ও আদেশ দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এক দশক আগেও উচ্চ আদালতে বাংলায় রায় ও আদেশের সংখ্যা ছিল খুবই কম। এদিকে সাধারণ মানুষ ও বিচারপ্রার্থীরা যেন রায়ের সারমর্ম বুঝতে পারেন, সেজন্য ইংরেজিতে দেয়া রায় বাংলায় অনুবাদ করতে সুপ্রিম কোর্টে ‘আমার ভাষা’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্বলিত নতুন সফটওয়্যার যুক্ত করা হয়েছে। যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের রায়গুলো বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।