রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জে সদর উপজেলার ৭নং উরফি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাইস গাজীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সকালে ৭নং উরফি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এর সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা জানায়, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল গাজী নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়। এরই রেস ধরে গত ৩ মাচর্ ২০২২ ইং তারিখে ইকবাল গাজী তার আপন চাচাতো ভাই অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী নাইস গাজীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় ইকবাল গাজীর বাহিনী নাইস গাজীকে হত্যার উদ্দেশ্য নৃশঙ্খভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। এসময় তারা হামলা চালিয়ে তার বাড়ি ও গাড়ি করে অপূরনীয় ক্ষতি সাধন করে। তারা বলেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। তার পরিনতিতে একজন সাবেক চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাথে নিয়ে আর একজন প্রার্থীকে হত্যার চেষ্টা চালাবে আমরা সাধারণ জনগণ তা কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারিনা। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগণ ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময়ে চেয়ারম্যান গাজী মনিরুজ্জামান, ইউপি সদস্য আবুল হাসান গাজী, আরিফ গাজি, ফায়েক গাজী, ইমদাদ গাজী, লেলিন বিশ্বাস প্রমুখ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গুরুতর আহত নাইস গাজীকে প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে, গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল গাজীসহ তার সহযোগীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।