সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চরবালিথা এলাকায় মরিচ্চাপ নদীর পাঁড় থেকে ক্ষত-বিক্ষত এক শিশুকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির নাম আলিফ হোসেন ফারহান (৭)। সে সদরের চরবালিথা গ্রামের মঈনুদ্দীন সরদারের প্রথম পক্ষের ছেলে।

উদ্ধারকারী চরবালিথা গ্রামের আশিকুজ্জামান জানান, আমি মরিচ্চাপ নদীর পাঁড় দিয়ে হেটে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় উপুড় হয়ে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখি। পরে চিৎকারে দিতেই তাকে চিনতে পারি। তার দু'চোখে ধারালো কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আর ঠোঁট কেটে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
শিশুটির পিতা মঈনুদ্দীন সরদার জানান, আমার প্রথম স্ত্রী শারমীন সুলতানা মারা যাওয়ার পরে ফারহান একই গ্রামে তার নানী সখিনা খাতুনের কাছে থাকতো। সৎ মায়ের অত্যাচার ছেলেটাকে যেন সইতে না হয়,তার জন্য নানীর কাছে রাখা হয়েছিলো।

ফারহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে কে এমনটা করতে পারে,এমন প্রশ্নের জবাবে মঈনুদ্দীন বলেন,আন্দাজে কার নাম বলব? তবে শুনেছি ওর মামি রাণী বেগম মাঝে মাঝে তার ওপর অত্যাচার করতো।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভীন আক্তার বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, ফারহানের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার ঠোঁট,গলা ও গায়ের কয়েক জায়গায় কাটা দাগ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।